সৌদি আরবে তুষারপাত, বরফ চাদরে মরুভূমি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাতারাতি বালির মরুভূমি বদলে গেল বরফে। যেখানে তাপমাত্রা ঘোরাঘুরি করছিল ১৩ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, সেখানে তাপমাত্রা হঠাৎ একেবারে শূন্যের নিচে! সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য অঞ্চলে বালির মরুভূমি ঢেকে গেছে বরফের চাদরে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ঘটনা বিরলতম। এর আগে এমন কোনোদিন ঘটেনি। সৌদি আরবের উত্তরে আল জফের তাপমাত্রা নেমে গেছে হিমাঙ্কেরও ৩ ডিগ্রি নিচে। বরফ পড়ায় বাসিন্দারা আনন্দে রাস্তায় নেমে আসেন। হঠাৎ এই ভাবে বরফ পড়া নিয়ে যেমন তাঁরা বিস্মিত, তেমনই আনন্দে আত্মহারাও। রুক্ষ, শুষ্ক মরুভূমি এভাবে রাতারাতি সুইজারল্যান্ড বনে যাবে কখনো ভাবেননি তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে সব ছবি ও ভিডিও পোস্ট হওয়ার পর রীতিমতো ভাইরাল হয়ে ওঠে।

* নভেম্বর-ডিসেম্বর এখানকার শীতের মৌসুম। বালির দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রার তারতম্য হয়েই থাকে। কিন্তু শূন্যের এতটা নীচে তাপমাত্রা নামা, এটা বিরলতম ঘটনা।

* মাঝে মাঝে হাল্কা বৃষ্টি, মেঘলা আবহাওয়া ছিল বেশ কয়েকদিন।

* অত্যাধিক তুষারপাতে ঢেকে গেছে রাস্তাঘাট। রাস্তায় প্রবল যানজট। কিন্তু তাতেও কুছ পরোয়া নেই। মানুষ গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো বরফ নিয়ে খেলতে শুরু করেছে।

* বালি ঢাকা পড়েছে বরফের চাদরে। বিভিন্ন জায়গায় বরফের মানুষ তৈরি করে রাখা হয়েছে।

*  স্নো-ম্যান বা বরফের মানুষ তৈরি করা নাকি ইসলাম বিরোধী, এই নিয়ে এর আগে বিতর্কও তৈরি হয়েছে সৌদি আরবে। কিন্তু এমন পরিবেশ হাতের কাছে পেয়ে কে শোনে কার কথা!

* সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ফুট উঁচুতে উত্তর আল জফের এই পাহাড়ি এলাকা ঢেকে গেছে বরফে।

* সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখানে একটু আধটু তুষারপাত হয়। কিন্তু এই ভাবে এত বেশি তুষারপাত কখনো হয়নি।

* এমনিতে এখানকার গড় তাপমাত্রা যথেষ্ট বেশি। তবে আবহাওয়াবিদদের মত, এই এলাকায় ঝড় হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এর সঙ্গে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের জটলায় হঠাত্ অনেকখানি তাপমাত্রা কমে গেছে। তুষারপাত হওয়ার এটাই প্রধান কারণ বলে জানান তাঁরা।

* কাশিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ও প্রফেসর আবদালাহ আল মুসানাদ জানান, এই মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে এখানে।

* তাঁর মতে, বর্ষা চলে যাওয়ার ৪০ দিন পর এমন অস্বাভাবিক বৃষ্টি এর আগে ঘটেনি।

* গত বছর এপ্রিলে প্রকৃতির রোষে পড়তে হয়েছিল সৌদিকে। অত্যাধিক বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল।

* সে সময় বন্যায় ১৮ জন মারা যান। ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর।-আনন্দবাজার

০৩ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ