রবিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:৩২:৫৯

আমার জন্যই ধনীরা এখন গরিবদের পায়ে পড়ছে : মোদি

আমার জন্যই ধনীরা এখন গরিবদের পায়ে পড়ছে : মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘আমি যা করেছি, তাতে এই একটি লাইন বাকি সব লাইন শেষ করবে’। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে এই ভাষায় ডিমনিটাইজেশনের সিদ্ধান্তকে জনগণের সামনে তুলে ধরলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।

উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে মোরাদাবাদের ‘পরিবর্তন সভায়’ বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অখিলেশ সরকারকে দুর্নীতি এবং কালো টাকা ইস্যুতেই গদিচ্যুত করতে চাইছে বিজেপি।

সভায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের আগে কেরোসিনের লাইনের দাঁড়াতে হত, চিনির লাইনে, গমের লাইনে দাঁড়াতে হত। ৬০ বছর ধরে এই চিত্র দেখেছে গোটা দেশ। এত দিন যারা দেশ চালিয়েছে, তারা এটাই উপহার দিয়েছে। এখন যে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তাতে বাকি সব লাইন শেষ হয়ে যাবে।’

সভায় উপস্থিত সমস্ত শ্রোতাদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘এ দেশ কি দুর্নীতির জন্য পিছিয়ে নেই? দুর্নীতি কি এমনি এমনি দেশ ছেড়ে চলে যাবে? দুর্নীতিকে গোড়া থেকে উপড়ে জরুরি নয় কি?’ সব ক্ষেত্রেই স্বতঃস্ফূর্ত জবাব দিয়েছেন উপস্থিত জনতা।

তিনি আরও বলেন, ‘যখন জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা শুরু হয়েছিল, তখন গরিব মানুষ জানতেন না তারা এটা কী ভাবে ব্যবহার করবেন। এখন কি এটা কাজে আসছে না? যারা কালো টাকা জমিয়ে রেখেছিল এখন তারা সাধারণ মানুষের পেছনে ছুটছে। দু’-একটা কথা বলে তারা অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার কথা বলছে। এর আগে ওরা আপনাদের সাথে কখনও কথা বলতে এসেছিল? এখন আপনাদের আশপাশে ঘুরঘুর করছে। আমার কথা শুনুন, যদি আপনারা এমন কোনও ব্যক্তির টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করে থাকেন, তবে তা আর ফেরত দেবেন না। ওই টাকা অ্যাকাউন্টেই থাকতে দিন। যদি ওরা আপনাদের হুমকি দেয় আমায় চিঠি লিখুন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ দেশ থেকে যদি দারিদ্র্য দূর করতে হয় তবে দেশের বড় রাজ্যগুলির ব্যাপক উন্নয়ন প্রয়োজন। যেমন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যগুলি শুধু আয়তনেই বড় নয়, এ সব রাজ্যে বহু মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেন। দেশে বহু জায়গায় ইতিমধ্যেই বিদ্যুত্‍ পৌঁছে গিয়েছে। তবে এখনও অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে বিদ্যুতের খুঁটি পর্যন্ত বসানো হয়নি। সবার প্রথমে সেই জায়গাগুলিকে আলোয় নিয়ে আসতে হবে।’
৪ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে