আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গরু মাংস খাওয়া নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ভারতের উত্তরপ্রদেশের দাদরি জেলার বিশাদা গ্রামের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এরই মধ্যে বিভেদের বেড়া ভেঙে সৌহার্দ্যের বার্তা। গ্রামেরই দুই মুসলিম তরুণীর বিয়ের আয়োজন যাতে নিবিঘ্নে হয়, সে দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এলেন হিন্দুরা। আয়োজনে সামান্য ক্রুটি রাখতেও নারাজ গ্রামের হিন্দু-মুসলিম প্রতিবেশীরা। এ জন্য তারা হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন।
মোহাম্মদ আখলাককে পিটিয়ে হত্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা ভারতে নিন্দার ঝড় উঠেছে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গ্রামেরই বাসিন্দা হাকিম কয়েকদিন আগেও গ্রামের বাইরে কোথাও দুই মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ভাবছিলেন। নিরাপত্তার কারণেই তিনি ওই চিন্তা করছিলেন।
কিন্তু ভাবনা ঘুচিয়ে দিয়েছেন এলাকারই হিন্দু পরিবারগুলি। তারা হাকিমকে জানান, গ্রামের মেয়ের বিয়ে হবে গ্রামেই। আর তারাও বিয়ের আয়োজনে সামিল হবেন। তাদের আশ্বাসে বুকে বল ফিরে পান হাকিম। হিন্দু প্রতিবেশীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বর-কনেকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাকিম ও তার আত্মীয়-স্বজনরা।
এদিকে, এসডিএম আর কে সিংহ জানিয়েছেন, বিশাদার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আখলাকের জখম ছেলে দানিশকে সেনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বরের হামলায় দানিশ গুরুতর জখম হন। তাকে নয়ডার কৈলাশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি