আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের বিতর্কে সেনা। গুলাম আলির অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পর এ বার প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরির বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ‘অপরাধে’ মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হল ভারতের প্রাক্তন কূটনীতিক সুধীন্দ্র কুলকার্নির মুখে।
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না এই অপ্রীতিকর ঘটনা।
কুলকার্নির মুখে কালি মাখানোর ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে অন্য মতমতের জায়গা থাকা উচিত।’’
আগেই খুরশিদের বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বন্ধের হুমকি দিয়েছিল শিবসেনা। সোমবার তাদের বিরুদ্ধেই কুলকার্নির মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
কুলকার্নি এই অনুষ্ঠানটির অন্যতম আয়োজক ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বাড়ির সামনেই কয়েক জন শিবসেনা সমর্থক তাঁকে আক্রমণ করে। এর পরই তাঁর মুখে কালি লেপে দেয় তারা।
এ দিন মুম্বইয়ে ওরলির নেহরু সেন্টারে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। শিবসেনার হুমকির কথা মাথায় রেখেই রবিবার উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন কুলকার্নি।
সূত্রের খবর, সেই সময় উদ্ধব তাঁকে দলের অবস্থান স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন। নেহরু সেন্টারের ডিরেক্টরকে একটি চিঠি লিখে এই অনুষ্ঠান বাতিল করার কথাও বলা হয় সেনার তরফে।
পাশাপাশি কুলকার্নিও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই অনুষ্ঠান যথাসময়েই তাঁরা করবেন। এ দিনের ঘটনার পর সেনা নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তাঁরা এই ঘটনায় গর্বিত।
সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের মতে, কালি ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানানোটা একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিমাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘জনরোষ কখন আছড়ে পড়ে তা আগে থেকে তো আর টের পাওয়া যায় না!’’
কিছু দিন আগেই পাক গজল সম্রাট গুলাম আলির গানের অনুষ্ঠান নিয়ে সেনার ‘মাতব্বরি’তে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়েছে। শেষমেশ সেই অনুষ্ঠানই বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্যে কুলকার্নির ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি।
যদিও প্রকাশ্যে এ নিয়ে মুখে কুলুম এঁটেছে। কংগ্রেসও ঘটনার নিন্দা করেছে। দলীয় নেতা সচিন সামন্ত বলেন, ‘‘সেনার এই ঘৃণ্য রাজনীতির নিন্দা করছি।’’ সূত্র: আনন্দবাজার
১২ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস