আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কর্নাটকের শুল্ক দপ্তরের মন্ত্রী এইচ ওয়াই মেটির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগ তুলেছিলেন তথ্যের অধিকার কর্মী রাজশেখর মুলালি। তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে আজ ইস্তফা দেন মেটি। যদিও, কোনও ভাবেই এই নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ স্বীকার করেননি তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জন্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক তিনি চান না। তাই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজশেখর মুলালি কয়েকদিন আগে একটি অডিও প্রকাশ করেন। যেখানে মেটির আপত্তিকর টেপ প্রকাশ না করার অনুরোধ করতে শোনা যায় মেটি অনুগামীদের। রাজশেখর মুলালিকে টাকা দিয়ে চুপ করানোর চেষ্টাও করা হয়ছে বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সব অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত মন্ত্রী।
স্থানীয় কন্নড় টেলিভিশনে বুধবার একটি ভিডিও সম্প্রচারের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় ৭১ বছরের এই মন্ত্রীকে। প্রায় ৩০ মিনিটের ভিডিওটির ৩০ সেকেন্ডের একটি অংশ এ দিন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। ভিডিওতে ওই মহিলাকে দেখা না গেলেও কংগ্রেসের প্রবীণ এই মন্ত্রীর পরিচিত চশমা দেখা যায়।
দাবি করা হয়, মন্ত্রীর কাছে সাহায্যপ্রার্থী হিসেবে এসেছিলেন ওই মহিলা। আর এর পরই সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে বুড়ো বয়সে মন্ত্রী নাকি এমন কাণ্ড ঘটান।
গত মাসেই ওই রাজ্যের কংগ্রেসের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী তানভির সাইদ অশ্লীল ছবি দেখতে দেখা গিয়েছিল। ক্যামেরার সাহায্যে হাতেনাতে ধরা পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, মেটির ইস্তফা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। মেটিও জানিয়েছেন, সরকারকে তদন্তে সবরকম সাহায্য করতে রাজি তিনি।
১৪ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস