আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসের একটি আদালত রায় দিয়েছে ক্রাইমিয়ার যাদুঘর ডাচ যাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য যেসব প্রাচীন মূল্যবান সম্পদ দিয়েছিল সেগুলো ইউক্রেনকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
২০১৪র মার্চে রাশিয়া যখন ক্রাইমিয়াকে তার অর্ন্তভূক্ত করে নেয়, সেসময় ঐসব প্রাচীন সংগ্রহ ডাচ যাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছিল।
ক্রাইমিয়ার চারটি যাদুঘর জিনিসগুলি তাদের সম্পত্তি বলে ফেরত চাইলেও ইউক্রেনের বক্তব্য ছিল জিনিসগুলি তাদের জাতীয় সম্পদ।
আমস্টারডামের আদালত তার রায়ে বলেছে ইউনেস্কোর নিয়ম অনুযায়ী এসব পুরাকীর্তি সার্বভৌম একটি দেশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
যেহেতু ক্রাইমিয়া কোনো সার্বভৌম দেশ নয়, তাই আদালত তার রায়ে বলেছে এসব সংগ্রহ কোথায় যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের আদালত সিদ্ধান্ত নেবে এগুলোর আইনগত মালিক কে।
ইতিমধ্যে এসব জিনিস গত দুবছর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাবদ আদালত কিয়েভ সরকারকে নেদারল্যান্ডসের যাদুঘরকে ৯৩ হাজার পাউন্ড দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
২০১৪র মে মাস থেকে ডাচ যাদুঘরে "ক্রাইমিয়া- স্বর্ণ এবং কৃষ্ণসাগরের গোপন সম্পদ" নামে এক প্রদর্শনীতে সোনার তৈরি মূল্যবান এসব সামগ্রী দেখানো হয়েছে। ওই অঞ্চল যখন গ্রিকদের উপনিবেশ ছিল এসব সামগ্রী তখনকার।
ইউক্রেনের যে চারটি যাদুঘর তাদের জিনিস ডাচ যাদুঘরকে ধার দিয়েছিল সেগুলো ক্রাইমিয়ায় হলেও পঞ্চম যাদুঘরটি ছিল কিয়েভে। আদালতের এই রায়ে ইউক্রেন উল্লসিত।
কিন্তু ক্রাইমিয়ার পুরাতত্ববিদ ভ্যালেন্তিনা মর্দভিনৎসেভা এর আগে ডাচ সংবাদমাধ্যমে আবেদন করেন "রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিষয়টি দেখা উচিত। এসব পুরাকীর্তি এসেছে আমাদের ভূখন্ড থেকে। কাজেই আমাদের ভূখন্ডেই এগুলো ফেরত আসা উচিত।"
তিনি এই প্রদর্শনীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই রায়ের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে "এই রায় যাদুঘরগুলোর মধ্যে পুরাকীর্তি বিনিময়ের আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি চরমভাবে লঙ্ঘন করেছে। এছাড়াও এই রায়ে ক্রাইমিয়ার জনগণের তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিজেদের কাছে রাখার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। "
ক্রাইমিয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য তিন মাস সময় পাবে। -বিবিসি
১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম