সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৩৪:১৬

৩০ সেকেন্ডে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা!

৩০ সেকেন্ডে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যেকোনো সময় বেধে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হতে পারে চীন ও রাশিয়া।  সিরিয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ব পটভূমিতে এখন চলছে শক্তি প্রদর্শনের রাজনীতি।  

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।  স্নায়ুযুদ্ধের পর চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধের শঙ্কা অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছিল।  অবস্থাদৃষ্টে এখন যা মনে হয়, ছোট একটি বিরোধ বা মতপার্থক্য থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে।

রাশিয়ার বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে এমন আশঙ্কা।  সিরিয়ায় হামলা চালাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কয়েকটি দেশের ওপর দিয়ে উড়ছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান।  এমন অবস্থায় যেকোনো সময় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিমানযুদ্ধের শঙ্কা আছে।  সিরিয়ার আকাশসীমা বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমানে ভরে গেছে।  

বোমা ফেলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের খুব কাছ দিয়ে উড়ছে।  আবার মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে থাকা সাগরেও ন্যাটো ও রাশিয়া নৌসেনা মোতায়েন করেছে। অতিসাধারণ কারণ নিয়ে এদের মধ্যে সংঘাত শুরু হতে পারে।

সিরিয়াকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ায় ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে লেগে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।  ডেইলি মিররের একটি প্রতিবেদনে এমনই আভাস পাওয়া গেছে।  শনিবার যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সিরিয়ায় আইসিসের লক্ষ্যবস্তুতে ২৪টি হামলা চালানোর দাবি করেছে।

একইদিনে রাশিয়া দাবি করেছে, ৫৫টি হামলার।  স্থলেও সমানতালে যুদ্ধ চলছে।  বাশার আল আসাদের সেনারা শুধু আইসিসের বিরুদ্ধেই লড়ছে না, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আসাদ বিরোধীদের লক্ষ্য করেও অভিযান পরিচালনা করছে।

এতে সিরিয়ার আকাশ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।  সমর নায়করা আশঙ্কা করছেন, যেসব দেশ সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে সেসব দেশের যুদ্ধবিমান, ড্রোনের মধ্যে যেকোন সময় সংঘর্ষ হতে পারে।  এতে করে তৈরি হতে পারে বৈশ্বিক সংকটের।  

এরইমধ্যে মার্কিন যুদ্ধবিমানকে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু পরিত্যাগ করতে হয়েছে। রাশিয়ার যুদ্ধবিমান এড়াতে হয়েছে কয়েকবার।  ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড কাতার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ইউএস এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রাশিয়ার এসইউ-৩৪ এর কতটা কাছাকাছি।  

সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলার নেতৃত্বে থাকা লে. জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ২০ মাইলের মতো দূরত্বে থাকছে।  বিমানগুলোর যে গতি তাতে ৩০ সেকেন্ড এদিক-সেদিক হলেই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
১২ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে