শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:০৬:১৬

ফিলিস্তিনের জনসংখ্যা কত ? নির্ধারণে আদমশুমারির প্রস্তুতি

ফিলিস্তিনের জনসংখ্যা কত ? নির্ধারণে আদমশুমারির প্রস্তুতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জনসংখ্যা, গৃহায়ণ গণনার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে আদমশুমারি পরিচালনা করবে দেশটির সেন্ট্রাল পরিসংখ্যান ব্যুরো।  

১৯৬৭ সালে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা জুড়ে এ গণনা পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সেন্ট্রাল পরিসংখ্যান ব্যুরোর সভাপতি ওলা আওয়াদ।

এই আদমশুমারি ফিলিস্তিন অথরিটির (পিএ) ইতিহাসে তৃতীয় সাধারণ জনগণনা হবে। প্রথমটি পরিচালিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালে এবং দ্বিতীয়টি হয়েছিল ২০০৭ সালে।

জাতিসংঘের সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণত প্রতি ১০ বছর পর এ শুমারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী, ২০১৭ সালে এটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সেন্ট্রাল পরিসংখ্যান ব্যুরোর সভাপতি।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মন্ত্রী পরিষদ ২০১৭ সালে পরবর্তী জনগণনার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে তিনি জানান।

ওলা আওয়াদ বলেন, ‘জনগণনার উদ্দেশ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা নির্ধারণ করা।  এছাড়াও, অর্থনৈতিক পরিকল্পনার লক্ষ্য নির্ধারণ, সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জনসংখ্যা, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ডেমোগ্রাফিক ডাটাবেস আপডেটসহ তাদের ভৌগলিক বন্টন নির্ধারণ করা।’

আওয়াদ জানান, এ জন্য গত দেড় বছর ধরে তারা কাজ করছেন। এরমধ্যে রয়েছে জনগণনার জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় প্রাক জনগণনা প্রস্তুতি সম্পন্ন করা।

তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি জনগণনা শুরুর আগে পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হবে। যদিও আনুষ্ঠানিক কোনো তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

তিনি আরো জানান, ২০১৭ সাধারণ আদমশুমারিতে কাগজের ফর্মের পরিবর্তে  ই-ফরম ব্যবহার করা হবে। কর্মীরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর একটি ট্যাবলেটে সংরক্ষণ করবে। পরবর্তীকালে সেন্ট্রাল পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মীরা নাগরিকদের উত্তর তাদের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করবে।

জেরুজালেম ও গাজা স্ট্রীপে জনগণনা কর্মীদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ হবে। কেননা ২০০৭ সালের আদম শুমারি অনুসারে এই দুটি এলাকায় পরিবর্তন করা হয়েছে। গাজা ইতোমধ্যে তিনটি নৃশংস যুদ্ধের (২০০৮, ২০১২ এবং ২০১৪) সাক্ষী হয়ে আছে। এসব যুদ্ধ তার জনসংখ্যা, গৃহায়ন ও প্রতিষ্ঠার মানচিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।

অন্যদিকে, জেরুজালেমে জনসংখ্যা এবং হাউজিং এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল কর্তৃক ‘জুদাইজেশন প্রচারণার’ প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়ে আছে। সূত্র: আল-মনিটর
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে