আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছয় বছর আগের মোবাইলের একটা ভিডিও ক্লিপিং এ দেখা যায় গানের তালে অনেক নারী হাসছেন ও হাততালি দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একই ঘরে একটি যুবক নাচছিল।
ভিডিওতে নারীদের মধ্য ছিল বাজিহা, সারিন জান, বেগম জান, আমীনা ও সাহীন। কিন্তু হটাত করেই নিখোঁজ হয়ে যান তারা। নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের।
ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে দুর্গম পাহারি কোহিস্তান এলাকায়। অনেকে মনে করছেন স্থানীয় ধর্মগুরুর সম্মানহানী ও ধর্মের অজুহাত দিয়ে এই পাঁচ নারীকে হত্যা করা হয়। কিন্তু সেই হত্যার বিচার পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে নিহত নারীদের পরিবার। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেনি পরিবারের মানুষজন। এই হত্যা মামলা পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ২০১২ সালে খারিজ করে দেয়।
অবশেষে পাকিস্তানের হাইকোর্ট গত সপ্তাহে এই হত্যা মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে এলাকার ধর্মীয় নেতারা মিলে কোহিস্তানের কোন পাহারি জায়গায় গরম পানি ও জ্বলন্ত কয়লায় ফেলে পাঁচ নারীকে হত্যা করছে। পরবর্তী সময় তদন্তের জন্য কয়েকবার পুলিশ গিয়েও স্থানীয় নেতা, আত্মীয় স্বজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন সুরাহা করতে পারেনি। উল্টে দেখা গেছে গ্রামের সবাই বলছে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
আফজল খোস্তানির করা আপিলে ভিত্তিতে হাইকোর্ট ফের মামলাটির পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। খোস্তানি জানান, ‘ওরা আমার পরিবারকে ধ্বংস করেছে। মেয়েরাও মারা গেছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভাইকেও খুন করেছে। এই হত্যার সঠিক বিচার ও আমাদের সুরক্ষার জন্য এই লড়াই চলবে।’
১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম