আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথমে সার্জিকাল স্ট্রাইক। তারপর নোটবাতিল। তারপর সেনা প্রধান নিয়োগ। একের পর এক ছকভাঙা সিদ্ধান্ত। কেন এত দুঃসাহসী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রধানমন্ত্রী কি সেই প্রধানমন্ত্রীর পথে হাঁটছেন? গত সত্তর বছরে এই উপমহাদেশে সবচেয়ে বর্ণময় চরিত্র। সাহস আর বিতর্ক হাত ধরাধরি করে চলেছে শ্রীমতি গান্ধীর সঙ্গে।
তিরিশ বছর পর জাতীয় রাজনীতিতে উত্থান আর এক বিতর্কের। গুজরাতের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন এবং রক্তক্ষয়ী হিংসা। দুই তাঁর সঙ্গে। মাত্র আড়াই বছরেই একের পর এক ছকভাঙা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী। তিনি কি ইন্দিরার পথেই হাঁটছেন? দুজনের তুলনা শুধু বাড়াবাড়ি নয়, রীতিমতো ধৃষ্টতা। তবু দুজনের কিছু মিল খোঁজার চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজের দলেই বহু বাধা ঠেলে শীর্ষে পৌছতে হয় ইন্দিরা গান্ধীকে। মোদীও সঙ্ঘের প্রচারক থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ইন্দিরার মতো মোদীও মানুষের নাড়ির টান খুব ভাল বুঝতে পারেন।
ইন্দিরা গান্ধী প্রতিকূল পরিস্থিতিকে বারবার হারিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে সমানে বুঝছেন। স্লোগানেও মিল। একজন বলতেন গরিবী হঠানোর কথা। অন্যজন বলেন সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলার কথা। ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের সাহসী অথচ সুদুরপ্রসারী সিদ্ধান্ত নেন ইন্দিরা। মোদী বিমুদ্রাকরণের সাহসী কিন্তু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইন্দিরা নিজেই সিদ্ধান্ত নিতেন এবং তার দায়িত্বও নিতেন। মোদী সব সিদ্ধান্ত একাই নেন। দুজনের পররাষ্ট্রনীতিও বহু আলোচিত।
ইন্দিরা জমানায় ভারতের কূটনীতি পৌছয় সুদুর আফ্রিকায়। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলিতে পৌছেছেন মোদী। বেশ ভালোইতো। কিছু মিল থাকলেও, এই তুলনা কোনও তুলনাই নয়। মানছেন বিশেষজ্ঞরাও। ইন্দিরা গান্ধীর কাজের ব্যাপ্তি সুদুরপ্রসারী। এখনও ভারতীয় গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে তাঁর গেঁথে দেওয়া ভিতরের ওপর ভর করেই। তাঁর পরে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী সেই সাহস দেখাতে পারেননি। মোদী একটা চেষ্টা অবশ্যই করেছেন। একটা ছাপ রেখে যেতে চান তিনিও।-জি নিউজ
১৯ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ