আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফোন এসেছিল ভারতের মুম্বাইয়ের সিওন থানায়। মুম্বাইয়ের সুলোচনা শেঠি মার্গে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। খুব তাড়াতাড়ি তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে সিওন হাসপাতালে নিয়ে গেল পুলিশ। হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার তখন ডিউটিতে। পাল্স দেখেই তিনি বলে দিলেন, ‘মারা গিয়েছে’। দেহ ঢেকে দেওয়া হল সাদা চাদরে। পাঠিয়ে দেওয়া হল মর্গে।
এমনটা তো কতই হয়! কিন্তু, এর পর যা হল, তা চোখ কপালে তোলার মতো। ময়নাতদন্তের ঠিক আগ-মুহুর্তে জেগে উঠল সেই ‘মৃতদেহ’। হতবাক করার মতো ঘটনার এখানেই শেষ নয়। নিজের ‘কীর্তি’ ধামাচাপা দিতে এর পর সেই চিকিৎসক ওই ঘটনার সমস্ত রেকর্ড নষ্ট করে দেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের গাফিলতির এই করুণ চিত্রটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
ঘটনায় পর পুলিশের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে। সিওন থানার এক তদন্তকারী অফিসারের দাবি, তাকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এমনকী, মৃতের কোনও এন্ট্রিও দেখানো হয়নি তাকে।
তবে, যাকে ঘিরে এত কাণ্ড, বছর পঁয়তাল্লিশের সেই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অপুষ্টিতে ভুগছেন তিনি। কানেও সংক্রমণের কারণে আপাতত তাকে ইএনটি বিভাগে ভর্তি করানো রয়েছে।
তবে সিওন হাসপাতালের যে চিকিৎসককে ঘিরে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, সেই চিফ মেডিক্যাল অফিসার রোহন রোহেকরের কোনও দোষ দেখছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ডিন সুলেমান মার্চেন্টের মতে, রোগীর পাল্স ‘মিস’ করা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। বিশেষত, সেই রোগী যদি কোনও কারণে ‘শকড বা ট্রমা’য় থাকেন।
১৩ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি