আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বোন-ভগ্নীপতি বাড়িতে এলে সমস্যা সমাধানের একটা চেষ্টা করবেন। ভেবেছিলেন দাদা। তিনি আরও ভেবেছিলেন, সমস্যা না মিটলে বোনকে আর শ্বশুরবাড়ি পাঠাবেনই না। বাগুইআটিতে মৃত নববধূ কাজল বর্মণের দাদা তপন বর্মণের দাবি, গত ১৪ ডিসেম্বর, বিয়ের পরদিনই বোন তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘তুই কী দেখে এর সঙ্গে বিয়ে দিলি?’’ এরও দু’দিন পর ফোনে কাঁদতে কাঁদতে কাজল বলেছিলেন, ‘‘এদের এত চাওয়া, আমি থাকতে পারব না।’’ পরদিন, ১৭ ডিসেম্বর কাজলের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বামী লিঙ্কন দাসের উপস্থিতিতেই তাঁরা বিষয়টি মিটমাটের একটা চেষ্টা করেন। তাতে বিশেষ কাজ হয়নি।
বুধবার তপন বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম, ওরা অষ্টমঙ্গলায় এলে আরেকবার কথা বলব। তার পরেও সেরকম খারাপ বুঝলে বোনকে আর ও-বাড়িতে ফিরে যেতে দেব না। কিন্তু তার আগেই তো সব শেষ হয়ে গেল।’’ কাজলের দিদি বিপাশা মজুমদারের অভিযোগ, ১৭ ডিসেম্বর তাঁদের সামনেই কাজলকে তাড়িয়ে দিয়ে কোনও ধনী পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল লিঙ্কনের মা।
তপন আরও জানিয়েছেন, হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখেছিলেন, কাজলের বাঁ কানের দুল নেই। তাঁর অনুমান, মৃত্যুর আগে কাজলের সঙ্গে ধস্তাধস্তির কারণেই ওই দুল পড়ে গিয়েছে। তদন্তে এখনও সেভাবে এগোতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারেই। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতদেহের গলায় একটি চিহ্ন রয়েছে। যা দেখে তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনাও হতে পারে।-এবেলা
২২ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ