আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শার্টের নিচে কিংবা ব্যাগে লুকানো ছুরি ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংঘাতে ফিলিস্তিনিদের অস্ত্রের প্রতীক হয়ে ওঠেছে। ৩ অক্টোবর নতুন করে সেখানে অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর ১৯ ইসরাইলিকে ছুরি দিয়ে হামলা করা হয়েছে।
ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়ে সোমবার দুই ইসরাইলিকে হত্যা ও ২০ জনকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে।
টুইটারে ইসরাইলি পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোসেনফিল্ড জানান, জেরুজালেমে সোমবার ছুরি নিয়ে হামলার চারটি ঘটনা ঘটেছে।
বাসে জেরুজালেমে ঢোকার সময় স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ফিলিস্তিনি হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে এক ইসরাইলি সেনা সামান্য আহত হন বলে ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন। এ সময় ওই ফিলিস্তিনি হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলেও ইসরাইলি পুলিশের মুখপাত্র জানান।
এছাড়া স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতিতে ছুরিকাঘাতে এক ইসরাইলি কিশোর ও ২৪ বছরের এক তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের গুলিতে এক ফিলিস্তিনি হামলাকারী নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে পুলিশ স্টেশনের কাছে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরি দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগে এক ফিলিস্তিনি নারীকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ইসরাইলি পুলিশকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার অভিযোগে মুস্তাফা আদেল আল-খাতিব নামে ১৮ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি তরুণকে গুলি করা হয়েছে।
ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়ে ইসরাইলিদের প্রতিহত করা যাবে না বলে সোমবার পার্লামেন্টে বলেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে আবারো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনি আন্দোলনকারীদের দ্বারা ইসরাইলিদের ছুরিকাঘাতের জের ধরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ফের ৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশকিছু ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে জেরুজালেমে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর থেকে চলা এ সংঘর্ষে ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কমপক্ষে ১৯৯০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলেছে,ফিলিস্তিনিদের হামলায় এ পর্যন্ত ৪ ইসরাইলি নিহত ও আরো ৬৭ জন আহত হয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুতে ইসরাইলি বসতি বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। পরবর্তীতে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। সূত্র: আল জাজিরা
১৩ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস