আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে মুক্ত অপহৃত লিবিয়ার বিমান। মাঝ আকাশে লিবিয়ার বিমান অপহরণ করা হয়েছিল। বিমানে ১১৮ জন ছিলেন। তারমধ্যে ১১১ জন যাত্রী ও ৭ জন বিমানকর্মী। বিমানটি ত্রিপোলির উদ্দেশে রওনা দিলেও অপহরণের জেরে তাকে মাল্টাতে অবতরণ করানো হয়। প্রায় ১ ঘণ্টা পর ১১১ জন যাত্রীকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। একথা জানিয়েছে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী।
মাঝ আকাশেই বিমানটি অপহরণ করে লিবিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা। ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত মাল্টা দ্বীপে গিয়ে তারা বিমানটিকে নামায়। দাবি না মানলে বোমা মেরে বিমানটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
প্রথমে আটকে রাখলেও, এবার ক্রিউ সদস্যদেরও ছেড়ে দিয়েছিল অপহরণকারীরা। অপহরণকারীরা মাল্টায় আশ্রয় চেয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এই সংক্রান্ত সরকারি কোনো তথ্য মেলেনি। তবে আত্মসমর্পণের পর অপরহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পশ্চিম লিবিয়ার সেভা থেকে ত্রিপোলী যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিল বিমানটি। কিন্তু, মাঝ আকাশে বিমানের অভিমুখ ঘোরানোর দাবি করে দুই অপহরণকারী। না হলে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা। তাদের কাছে গ্রেনেড রয়েছে বলে আশঙ্কা পুলিশের। এখনও কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি। কোনো দাবিও আসেনি অপহরণকারীদের থেকে।
বিমান ছিনতাইয়ের কথা টুইট করে জানান মাল্টার প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দর খালি করে দেওয়া হয়। জারি করা হয় হাই-অ্যালার্ট। বিমানটিকে ঘিরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয় অপরহরণকারীদের সঙ্গে দর কষাকষি। মাঝপথেই প্রথমে মহিলা ও শিশুদের মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। তারপর বাকিরাও মুক্ত হয়।
২০১১ সালে লিবিয়ার একনায়ক গাদ্দাফির অপসারণের পর থেকেই অশান্ত লিবিয়া। অপহরণকারীরা নিজেদের গাদ্দাফির সমর্থক বলে দাবি করেছে।
২৩ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস