আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের করাচিতে ভূমিধসে সাত শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করাচির গুলশানে জোহর এলাকায় অবস্থিত এই বস্তিতে স্থানীয় সময় রাত দুইটার সময়ে পাথর ও মাটি চাপা পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। তবে তাদের মধ্যে তিনজন নারী, তিনজন পুরুষ ও সাত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে। পাক রেঞ্জারস এবং পুলিশ সদস্যরাও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকাজে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
করাচির পুলিশ কমিশনার শোয়েব সিদ্দিকি জানান, নিহতরা সবাই এক পরিবারের। করাচির গুলশানে জোহর এলাকায় কাজ করতে এসেছিল ওই শ্রমিক পরিবার৷ এই জায়গায় মাত্র তিন দিন আগে নিজেদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল পরিবারটি। দেহগুলি জিন্না হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷
এদিকে মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মঙ্গলবার দেশটির সরকারি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, মৌসুমি বৃষ্টি থেকে এই ভূমিধস হয়েছে। ওই এলাকা থেকে তিন শতাধিক লোককে সরিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে প্রত্যন্ত কায়াহ রাজ্যের হপা-সং শহরে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী নিহত হয়। এই ঘটনায় ৩৬০ জনেরও বেশি মানুষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৩ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/