আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে যে টাকশাল রয়েছে, সেখানকার কর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আর বাড়তি সময় কাজ করবেন না। কর্মীদের দাবি, সাধারণত তাঁরা ৯ ঘণ্টা কাজ করেন। কিন্তু গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা দিনে প্রায় ১২ ঘণ্টা করে কাজ করছেন। শালবনি টাকশালের কর্মী সংগঠনের দাবি, এর ফলে কর্মীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
অভিযোগ, তাঁদের জোর করে ওভারটাইম কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছিল। ফলে আজ থেকে আর তাঁরা ওভারটাইম কাজ করবেন না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কর্মীরা হিসেব দিয়ে বলেছেন, ১২ ঘণ্টা করে দিনে দু’টি শিফটে কাজ করার ফলে এই টাকশাল থেকে মোট ৬ কোটি ৮০ লক্ষ নোট ছাপা হচ্ছিল। কিন্তু ৯ ঘণ্টার শিফটে কাজ হলে সেই সংখ্যাটা একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে। শালবনির এই টাকশাল থেকে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের একটা বড় অংশ, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও নোট সরবরাহ করা হয়। ফলে, কর্মীদের এই বিদ্রোহের ফলে মাস পয়লার শুরুতে ব্যাঙ্ক-এটিএম-এ ৫০০ টাকার নোটের জোগান কমার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
একদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন, রাজ্যে নতুন নোটের সরবরাহ নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঠিক সেই সময়েই বাংলাতেই টাকশালে কর্মীদের এই বিদ্রোহ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয় কি না, সেটাই এখন দেখার। -এবেলা।
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম