আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে পরমাণুব্যবস্থা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আসায় দেশটি বাধ্য হয়ে পারমাণবিক অস্ত্রব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের মান, ক্ষমতা এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা ভারতের তুলনায় ভালো বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এক পরমাণুবিজ্ঞানী।
পাকিস্তানের সাবেক পরমাণুবিজ্ঞানী এবং থর কয়েল ফিল্ডের আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যাসিফিকেশন প্রজেক্টের চেয়ারম্যান সামার মুবারাকমান্দ গতকাল মঙ্গলবার ইসলামাবাদে এক সেমিনারে এসব কথা বলেছেন। ইসলামাবাদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইপিআরআই) ‘পাকিস্তানে পরমাণু শক্তির বেসামরিক ব্যবহার: সুযোগ এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-এর।
সামার মুবারাকমান্দ বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি সব সময় শান্তিপূর্ণ ছিল। বেলুচিস্তানে মুঙ্গিতে পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (ওয়াপদা) বাঁধ নির্মাণে, পরমাণু চিকিৎসাকেন্দ্র এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক কর্মসূচি চালানো হয়েছে।
সাবেক এই পাক-পরমাণুবিজ্ঞানী বলেন, ‘২০০৮ সালে ভারতকে পরমাণু সরবরাহকারী গ্রুপের (এনএসজি) সদস্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের লবিরা তদবির করেছিল। সাম্প্রতিক সময়েও ভারতকে এনএসজির সদস্য করতে পশ্চিমা দেশগুলো পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসী দেখতে পারে যে পাকিস্তান বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি সামরিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে না। পাকিস্তানের পারমাণবিক উপাদানও চুরি হয়নি। আমরা উপমহাদেশের মর্যাদা রক্ষা করবই। ছোট রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পরই পাকিস্তান ওই পরীক্ষা চালায়।’
ওই পরমাণুবিজ্ঞানী দাবি করেন, ‘ভারত ১৯৫৯ সাল থেকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু বিশ্বে ভারতের অবস্থান ভালো বলে বিবেচিত। আর পাকিস্তানের অবস্থান হচ্ছে—দেশটিকে বিশ্বাস করা যায় না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের মান, ক্ষমতা এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা ভারতের তুলনায় ভালো।’
২৮ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস