বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:২৪:২৬

যেভাবে চাপা পড়ে কেনেডি হত্যাকাণ্ড রহস্য

যেভাবে চাপা পড়ে কেনেডি হত্যাকাণ্ড রহস্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ডের রহস্য ধামাচাপা দিয়েছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র একজন সাবেক পরিচালক। সিআইএ’র একটি গোপন রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৩ সালে তৈরি ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৬৩ সালে যখন কেনেডিকে গুলি করে হত্যা করা হয় তখন সিআইএ’র পরিচালক ছিলেন জন ম্যাককোন। ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিয়োজিত একটি ফেডারেল তদন্ত কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য আটকে দিয়েছিলেন তিনি।

গোপন রিপোর্টের লেখক ও সিআইএ’র ইতিহাসবিদ ডেভিড রবার্জ লিখেছেন, ওয়ারেন কমিশন কেনেডি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিল তা ম্যাককোনসহ অন্যান্য সিআইএ কর্মকর্তা ধামাচাপা দিয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে পলিটিকো ম্যাগাজিন।

কেনেডি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে ওয়ারেন কমিশন নামে পরিচিতি পায়। ১৯৬৩ সালের নভেম্বর মাসে জনসনের পক্ষ থেকে ওই কমিশন গঠন করা হয়েছিল।

রবার্জ লিখেছেন, ম্যাককোন ও অন্যান্য সিআইএ কর্মকর্তা ওয়ারেন কমিশনের দেয়া ‘জ্বালাময়ী’ তথ্য লুকিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি আরো লিখেছেন, সিআইএ প্রমাণ করতে চেয়েছিল, কেনেডির ঘাতক লি হার্ভি ওসওয়াল্ড একাকী এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলেন এবং তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল না।

ওয়ারেন কমিশনের রিপোর্টে ওসওয়াল্ডের ব্যাপারে এ ধরনের যেসব তথ্য ছিল সিআইএ শুধু সেগুলোকে বড় করে তুলে ধরে এবং বাকি তথ্য গোপন করে ফেলে।

অবশেষে ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ পায়। সেখানে বলা হয়, ওসওয়াল্ড একাই কেনেডি হত্যার গোটা পরিকল্পনা করেন এবং তাকে গুলি করে হত্যা করেন।

অথচ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের একটি তদন্ত কমিটি ১৯৭৮ সালে এ সিদ্ধান্ত উপনীত হয় যে, ওয়ারেন কমিশনের রিপোর্টকে বিকৃত করা হয়েছিল এবং কেনেডি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিহত হয়েছিলেন।

পরবর্তীতে বহু ইতিহাসবিদ ও গবেষক বলেছেন, কেনেডিকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল অনেক বড় একটি মহল এবং ওসওয়াল্ড শুধুমাত্র ওই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন। তাদের মতে, কেনেডি হত্যাকাণ্ডে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কেনেডি ইহুদিবাদী ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন ইসরাইলের দিমুনা পরমাণু স্থাপনা আইএইএ’র পরিদর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।

তেলআবিব এ কারণে কেনেডির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয় এবং এর ফলশ্রুতিতে ইহুদিবাদীদের ষড়যন্ত্রে তাকে হত্যা করা হয় বলে অনেকে মনে করেন। সূত্র: রেডিও তেহরান
১৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে