আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নোটবাতিল নিয়ে বিতর্ক আর পিছু ছাড়ছে না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। নোটবাতিলের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী করলেও, এই সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়েছে বলেই দাবি করে আসছিল সরকার। সংসদে দাঁড়িয়ে কয়লা মন্ত্রী পিয়ূস গোয়েল বলেছিলেন, নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড অফ গভর্নরস নিয়েছে। সরকার ক্যাবিনেটে তার মঞ্জুরি দিয়ে ঘোষণা করেছে মাত্র।
কিন্তু ২২ ডিসেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে একটি ৭ পাতার নোট অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। তাতে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, সরকারের ‘পরামর্শ’ মতোই তারা এই সিদ্ধান্ত পরিচালন সমিতিতে অনুমোদন করিয়েছিল। ৭ নভেম্বর সরকারের তরফ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পরামর্শ দেওয়া হয় যে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। সেই পরামর্শ মেনেই ৮ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই সিদ্ধান্ত নেয়। আর তার পরে প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেটে পাশ করিয়ে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যথেষ্ট প্রস্তুত ছিল না, তাও সংসদীয় কমিটিকে পাঠানো নোটে পরিষ্কার হয়ে গেছে। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আরবিআই মাত্র ৯৪,৬৬০ কোটির ২০০০ টাকার নোট ছাপাতে পেরেছিল। যা বাতিল করে দেওয়া বা বাজার থেকে তুলে নেওয়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের মাত্র ৬ শতাংশ। এর ফলেই নোটের আকাল দেখা দেয় নোটবাতিলের পরে।
আগামী ২২ জানুয়ারি এই সংসদীয় কমিটির সামনেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেলের হাজির হওয়ার কথা। তার আগে তাঁরই পাঠানো নোটে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। -এবেলা।
১০ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম