আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে তৃতীয় শ্রেণীর পরিবেশ বিদ্যার বইতে শিশুদের নিকট আত্মীয়দের সম্পর্ক বোঝাতে এই বর্ণনা করা হয়েছে। পরিবারের সম্পর্ক দেখিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি রাজ্য সরকারের সিলেবাস কমিটি। সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বইয়ের ‘বর্ণালী’ অধ্যায়েও রয়েছে চমক। ওই অধ্যায়ের হাতেকলমে অংশে রামধনুকে লেখা হয়েছে ‘রংধনু’।
রামধনুর সাত রঙের বর্ণনা করার সময় পঞ্চম রঙের নাম হয়েছে ‘আসমানি’। যা সাধারণত ‘আকাশী’ বলেই এতদিন পরিচিত ছিল। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গীতা পড়ানো বাধ্যতামূলক করার কথা উঠলে অনেকেই তার সমালোচনা করেছিলেন। সমালোচকদের অভিযোগ ছিল যে গীতা পড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থায় গৈরিকিকরণ করা হবে।
জনক মানে বাবা নয়, ‘আব্বা’। একই রকমভাবে তাঁর ভাই ‘চাচা’ এবং বোন ‘ফুফুআম্মা’। এদের সকলকে যারা জন্ম দিয়েছেন তাঁরা আবার ঠাকুমা বা ঠাকুরদা নয়। তাঁরা হচ্ছেন দাদা এবং দাদি। শুধু তাই নয়, মা-এর অপর নাম আম্মা। মায়ের বোন খালাআম্মা। মায়ের জনক-জননী হচ্ছেন নানা-নানি। এখন পশ্চিমবঙ্গের শিশুদের এটাই শেখানো হচ্ছে। সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় এহেন ইসলামিক নামের প্রবর্তনের বিষয়ে কিছুই জানেন না রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, এখন যে সব বই রাজ্যে চালু রয়েছে। সেই সমস্ত কিছুর সিলেবাস যখন তৈরি হয় তখন আমি শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম না। এগুলো অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে।” এই বিষয়ে যাবতীয় বিষয় সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার দেখেন বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু। তবে এই সিলেবাস পরিবর্তনের মধ্যে বিতর্কিত কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার।-কলকাতা২৪
১২ জানুয়ারি ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ