আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় হামলা চালাতে গিয়ে প্রায় মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার চারটি জঙ্গি বিমান। এ অবস্থায় পথ পাল্টে রক্ষা পায় বিমানগুলো। এ ঘটনার পর পরই দুর্ঘটনা এড়াতে ফের বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন ও মস্কো।
বৈঠকে বিমান নিরাপত্তা নিয়ে চুক্তিও হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগেও মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল দু'দেশের জঙ্গিবিমান।
খবর : এএফপি, সিএনএন ও বিবিসি অনলাইনের
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর ওপর হামলার সময় যুদ্ধবিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে গতকাল বুধবার ফের বৈঠকে বসার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিগগিরই একটি চুক্তি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার। আলোচনায় নতুন কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে কথা হবে বলে মস্কো জানিয়েছে।
দু'দেশের যুদ্ধবিমান খুব কাছাকাছি চলে আসার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অভিযানের সময় যাতে রুশ ও মার্কিন বিমানের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, গত শনিবার সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দু'দেশেরই যুদ্ধবিমান যখন হামলায় অংশ নিচ্ছিল তখন কিছুক্ষণের জন্য তারা একে অপরের বেশ কাছে চলে আসে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, দুটি রুশ ও দুটি মার্কিন বিমান সেসময় সিরিয়ায় আইএসের ওপর হামলা পরিচালনা করছিল। একপর্যায়ে বিমানগুলো পরস্পরের ১০ থেকে ২০ মাইলের মধ্যে চলে আসে। পাইলটরা বিমানগুলো খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছিলেন। পরে তড়িঘড়ি করে পথ পাল্টে সে যাত্রায় রক্ষা পায় বিমান চারটি।
৩০ সেপ্টেম্বর সিরিয়ায় রুশ হামলা শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র অনিচ্ছাকৃত সংঘর্ষ ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে। ভুলবশত দু'দেশের বিমান একে অপরকে হামলা করে বসা নেহাতই অমূলক নয়।
আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী দমনে রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়ার সঙ্গে মিলে কাজ করছে ইরাক। এ জন্য ইরাকের রাজধানী বাগদাদে স্থাপন করা হয়েছে যৌথ গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় কেন্দ্র।
গত সপ্তাহে এ কেন্দ্র থেকেই কারবালায় আইএসের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছিল ইরাক। ইরাকি এমপি ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান হাকিম আল জামিলি এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৫ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম