আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এলিট পরমাণু ক্লাবে ভারত যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে বদ্ধপরিকর চীন। ওবামা যেন বিদায়ী পুরস্কার হিসেবে সে ব্যবস্থা না করেন, এমনটাই হুঁশিয়ারি ছিল সে দেশের। এবার ঠারেঠোরে তারই উত্তর দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। নাম না করেই চীনকে এ বিষয়ে বার্তা দিলেন তিনি।
চীনের আগ্রাসন ক্রমশই বাড়বাড়ন্তের দিকে। সেদিকে নজর দিয়েছেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। জানা যাচ্ছে, বাড়তে থাকা চীনের খবরদারিতে রাশ টানতে উদ্যোগী তিনিও। মার্কিন বিদায়ী ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, পরমাণু ক্লাবে ভারতের প্রবেশের ক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নেবেন ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের থেকেই এ ইঙ্গিত মিলতেই কৌশলে দেশের বিদেশনীতি জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন। কোথাও অবশ্য চিনের নাম নেননি তিনি।
তিনি বলেছেন, কোনও কোনও দেশের অত্যধিক উচ্চাকাঙ্খা ও ক্রমাগত শত্রুতা ছড়ানোই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পত্তির বাড়বাড়ন্ত ও সামরিক সরজ্ঞামের প্রাচুর্যই এখন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা। একক শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার বদলে আন্তর্জাতিক নিয়মকে মান্যতা দেওয়ার উপর জোর দেন তিনি। স্পষ্টতই তার নিশানায় ছিল চীন। সামরিক শক্তি থেকে পরমাণুতে ভারতে নাজেহাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে চীন। তাতে লাগাম টানতেই এবার দেশের নীতি কৌশলে জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
১৮ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস