আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিনের এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার লিয়াওনিং-এর নেতৃত্বে একটি চিনা নৌবহর দক্ষিণ চিন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় টহল দিচ্ছে।
মার্কিন নৌসেনার প্যাসিফিক কম্যান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারিস জুনিয়র ভারতকে ‘চিন্তিত’ হওয়ার মতো বার্তা দিলেন। চিন দ্রুত গতিতে ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে বলেই এই বার্তা দিয়েছেন মার্কিন নৌসেনার শীর্ষকর্তা। অবশ্য তিনি এ-ও বলেছেন যে, এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার নিয়ে মহড়ার আয়োজন করে চিন ভারতকে ভয় দেখাতে পারবে না। কারণ সে দিক থেকে ভারত অনেক এগিয়ে রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার অপারেশনের ক্ষেত্রে ভারতীয় নৌসেনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা চিনা নৌসেনার চেয়ে অনেক বেশি।’
হ্যারিস জুনিয়র জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবহরের গতিবিধি আটকানোর কোনও উপায় নেই। চিনের এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার লিয়াওনিং-এর নেতৃত্বে একটি চিনা নৌবহর দক্ষিণ চিন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় টহল দিচ্ছে। কিন্তু মালাক্কা প্রণালী পেরিয়ে কোনও নৌবহরকে আসতে এখনও দেখা যায়নি। মার্কিন নৌসেনার শীর্ষকর্তার মতে, চিনা নৌবহর যে কোনও সময়ে বঙ্গোপসাগর, আন্দমান বা আরব সাগরের দিকে প্রবেশ করতেই পারে। চিনা সাবমেরিনগুলি যখন মালাক্কা প্রণালী পেরিয়ে মাঝেমধ্যেই হানা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তখন চিনের এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার প্রবেশের সম্ভাবনাও একেবারে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, ভারত এবং আমেরিকা যৌথ ভাবে চিনা নৌসেনার গতিবিধির উপর নজর রাখছে। দিল্লি এবং ওয়াশিংটন ইতিমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে এই বিষয়ে। আমেরিকার কাছ থেকে কেনা পি৮-১ অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার জেটগুলিকে এ কাজে ব্যবহার করছে ভারত।-এবেলা
১৯ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস