আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শরণার্থী গ্রহণে রাশ টানার মাসুল গুনতে হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ব্রিটেনবাসীর আপত্তিতে এখন তার ইংল্যান্ড সফরই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতায় আসার আট দিন পরে, গত শুক্রবার পেন্টাগনে বসে সিরিয়া, লিবিয়া–সহ সাতটি মুসলিম দেশ থেকে আসা মানুষের আমেরিকায় প্রবেশ বন্ধ করতে নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এতেই দুনিয়া জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। বাদ যায়নি ব্রিটেনও। খবর আজকালের।
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্রিটেন সফরে আসতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। তাই রাতারাতি সরকারি ওয়েবসাইটে একটি পিটিশন চালু হয়। তাতে বলা হয়, ‘নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই বিদ্বেষ ও বিভেদের রাজনীতি করে এসেছেন ট্রাম্প। গোটা বিশ্ব তার সাক্ষী থেকেছে। এমন একজন মানুষ ব্রিটেন সফরে আসার অনুপযুক্ত। রানির এবং প্রিন্স অফ ওয়েলসের অভ্যর্থনা পাওয়ার অনুপযুক্ত। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ওকে যেন সরকারি আমন্ত্রণ পাঠানো না হয়।’
ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই পিটিশনে ৩৭২ জন সই করেছিলেন। সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়ে ট্রাম্পকে ইংল্যান্ড আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। তারপরই পিটিশনে সইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকে। শুক্রবার শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর যা ১০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। হিসেব করে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা ১০টার পর প্রতি ১ মিনিটে প্রায় ১০০০ মানুষ তাতে সই করেছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পিটিশনে ১০,০০০ মানু্ষ সই করলেই, বিষয়টি পার্লামেন্টে বিবেচনা করে দেখা হয়। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে টেরেসা মে ট্রাম্পের সফর বাতিল করবেন না বলে ডাউনিং স্ট্রিট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে। তবে পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে।
৩০ জানুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস