আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দায়িত্ব পাওয়ার পর কাউকে পাত্তা না দিয়ে একের পর আদেশ জারি করছেন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবার এক নির্বাহী আদেশ জারি করে বিপাকে পড়েছে তিনি। তার এই অভিবাসন নীতির আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদের জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা। প্রতিবাদলিপির একটি খসড়াও তৈরি হয়ে গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবর অনুযায়ী ওই খসড়াতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের অভিবাসননীতি যুক্তরাষ্ট্রসুলভ নয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয় খসড়াতে। প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস ওই কূটনীতিকদের প্রতিবাদের উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে।
শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে তিন মাসের জন্য ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি শরণার্থী কর্মসূচি চার মাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। প্রশাসনের শরণার্থী সীমিতকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন নবনির্বাচিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়।
কূটনীতিকদের প্রতিবাদের উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে হোয়াইট হাউজ। মুখপাত্র সন স্পাইসার বলেছেন, ‘আপনাদের এটা নিয়ে সমস্যাটা কী? আপনারা হয় অভিবাসন নীতি মেনে নিন নয়তো বিদায় নেন।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস বলেছেন, তার অফিস আদালতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির পক্ষ হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে না। ইয়েটস সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিয়োগকৃত কর্মকর্তা। অচিরেই তার স্থলাভিষিক্ত হবার কথা রয়েছে ট্রাম্পের মনোনীত জেফ সেশনসের।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিচার বিভাগ থেকে প্রতিবাদের এই খবর এমন সময় এলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন নীতি নিয়ে সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বইছে। রেওয়াজ অনুযায়ী কোন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার উত্তরসূরিদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কখনো মন্তব্য করেন না। তবে এই প্রেক্ষাপটে রেওয়াজ ভেঙে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বারাক ওবামা। তার মুখপাত্র কেভিন লুইস বলেছেন, সাবেক নেতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক নীতির সাথে একমত পোষণ করেন না।
৩১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর