শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ১২:২৯:৫৫

ছাত্রীদের যে অভিযোগে গ্রেপ্তার স্কুলের প্রিন্সিপাল

ছাত্রীদের যে অভিযোগে গ্রেপ্তার স্কুলের প্রিন্সিপাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালকে। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। বেঙ্গালুরুর হেব্বাল সেন্ট্রাল স্কুলের ঘটনা। অভিযোগ, ছাত্রীদের ইঙ্গিতপূর্ণ মেসেজ পাঠাতেন প্রিন্সিপাল কুমার ঠাকুর। নিজের রুমে ডেকে ছাত্রীদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নোংরা কথাবার্তাও বলতেন তিনি। ছাত্রীরা বিষয়টি স্কুলের অন্যান্য কর্মীদের জানায়। যোগাযোগ করা হয় চাইল্ড হেল্প লাইনে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কুমার ঠাকুরকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি।

চাইল্ডলাইনের তরফে পুলিশের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, গত ১৪ জানুয়ারি তাদের কাছে ঐ বিদ্যালয়ের এক পুরুষকর্মীর ফোন আসে। তিনি বলেন, স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ জানাতে চান। প্রিন্সিপাল স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে, বিশেষ করে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন করেন। কাউন্সিলিংয়ের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রুমে ডেকে নোংরা ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন। হোয়াটসঅ্যাপেও বাজে মেসেজ পাঠান। বিষয়টি নিয়ে স্কুলের অনেক শিক্ষকই জানেন। কিন্তু চাকরি যাওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।

এরপরই চাইল্ডলাইনের নোডাল অফিসার পুলিশের কাছে বিষয়টি লিখে জানান। আইনে গ্রেফতারও করা হয় অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে। জেল হেফাজত হয় তাঁর। আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিনি। কর্নাটকের শিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, কারও বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে কর্নাটকের শিশু নিরাপত্তার খাতিরে তাকে পদ থেকে সাসপেন্ড করা হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় যেহেতু রাজ্যের হাতে নয়, তাই কুমার ঠাকুরের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বহাল করা যাচ্ছে না। তবে তাঁকে আপাতত ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে স্কুল সূত্রে খবর।-সংবাদ প্রতিদিন

০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে