আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে ফতোয়া জারির ঘটনায় টিপু সুলতান মসজিদের শাহি ইমাম মৌলানা রহমান বরকতির বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের সর্বভারতীয় সভাপতি আরশেদ আলম। আগামী একসপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে আদালতে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন আরশেদ সাহেব। তিনি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ প্রথমে এফআইআর নিতে চাইছিল না। প্রথমে পার্কস্ট্রিট থানা এফআইআর নেয়নি। পরে আমি ময়দান থানা ও কড়েয়া থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানাই। কিন্তু, রাজ্যের পুলিশকে দল দাসে পরিণত করেছে মমতার শাসকদল। একটি সম্প্রদায়ের ইমামের এত বড় ক্ষমতা হয় কী করে? দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে ফতোয়া জারি কেউ কি করতে পারে ?” কলকাতা পুলিশকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। না হলে আমরা দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।”
গত ৭ জানুয়ারি কলকাতায় বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলিকে পাশে বসিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাড়ি কেটে, মাথা মুড়িয়ে কালি মাখিয়ে দিতে পারলে ২৫ লাখ ইনাম দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন টিপু সুলতান মসজিদের শাহি ইমাম। এরপর বিতর্ক শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। ১২ জানুয়ারি শাহি ইমামের বিরুদ্ধে কড়েয়া ও ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আরশাদ আলম।
০৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস