আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ে করতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকের হাতে বন্দি পাত্র ভাস্কর সরকার। বন্দি করা হয়েছে পাত্রের মা আরতী সরকারকেও। বিয়ে বাতিল করার পাশাপাশি বিয়ের খরচের দাবি করে ওই যুবক ও তাঁর মা-কে ৪৮ ঘণ্টা ধরে আটকে রাখে মেয়ের বাড়ির লোকেরা। পুলিশে খবর দিলে, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ার বাসিন্দা ভাস্কর সরকারের পরিবার, বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন বরযাত্রী-সহ বিয়ে করতে যান। দিন ১৫ আগেই শহরের পূর্ব সুদর্শনপুর এলাকার রেখা সরকারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। ধূমধাম করেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরের দিন সকালে পাত্র স্নান করে বাসি বিয়ের জন্য ছাদনাতলায় যাবার পথেই বিপত্তি। আচমকা অজ্ঞান হয়ে যান ভাস্কর। প্রায় আধঘণ্টা সুশ্রুষার পরে জ্ঞান ফেরে। এর পরেই মেয়ের বাড়ির লোকেরা বিয়েতে আপত্তি জানান। তাঁদের দাবি, পাত্র স্নায়ুরোগে ভুগছে। এবং তা খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বিয়ে মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। বরযাত্রীদের কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই পাত্র ও তার মা-কে আটকে রাখা হয়।
পাত্রীর বাবা যুগলচন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, ‘অনেক কষ্ট করে মেয়ের বিয়ের খরচ জোগাড় করেছিলাম। কিন্তু ছেলের রোগ গোপন করা হয়েছে। যে কোনও সময়ে এই রোগ থেকে সে মারা যেতে পারে। অকালে আমার মেয়ে বিধবা হবে। সেই জন্য আমি বিয়ে বাতিল করে দিয়েছি। কিন্তু মেয়ের ভবিষ্যৎ রয়েছে। ওকে আবার বিয়ে দিতে হবে। আমি ছেলের বাড়ির কাছে খরচ বাবদ ১ লক্ষ টাকা চেয়েছি। সেটা না পাওয়া পর্যন্ত ছেলে ও তার মাকে আমরা আটকে রাখব।’
অন্য দিকে, ছেলের বাবা প্রফুল্ল সরকার জানিয়েছেন, বিয়ের আগে দীর্ঘ ক্ষণ উপবাস করে থাকার কারণেই পাত্র জ্ঞান হারিয়েছেন। কিন্তু জোর করে বিয়ে বাতিল করে তাঁকে ও তার মাকে আটকে রাখা হয়েছে। ‘আমি টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছি। ভয়ে পুলিশকে জানাতেও পারছি না,’ জানান প্রফুল্লবাবু।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম