আন্তর্জাতিক ডেস্ক : “ভারতে জন্ম নেওয়া প্রত্যেকটি মানুষই হিন্দু। যেমন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া নাগরিককে ইংরেজ, অ্যামেরিকায় জন্ম নেওয়া নাগরিককে অ্যামেরিকান ও জার্মানিতে জন্ম নেওয়া জার্মান বলা হয়। তেমনি হিন্দুস্তানে জন্ম নেওয়া নাগরিককে হিন্দু বলাটাই বাঞ্ছনীয়।”
বৃহস্পতিবার ভারতের মধ্যপ্রদেশে বেতুলে একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। ভারতের নাগরিকদের মধ্যে ঐক্য, অখণ্ডতা ও সামাজিক সাম্য বজায় রাখার জন্য এই মানসিকতা তৈরি করার দরকার বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।
তার কথায়, ভারতে জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেকটি মানুষ হিন্দু। এদের মধ্যে কেউ ব্রিগহপুজো করেন আর কেউ তা করেন না। কিন্তু সেটা তাদের নিজেদের বিশ্বাসের বিষয়। তবে এই দেশে জন্ম নেওয়া ও বসবাসকারী প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের মানুষই জাতীয়তাবাদের দিক থেকে হিন্দু। তারা শুধুমাত্র তাদের ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে ইসলামকে বিশ্বাস করেন।
আটদিনের মধ্যপ্রদেশ সফরে এসেছেন মোহন ভাগবত। বৃহস্পতিবার বেতুল জেলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দ্বিতীয় সংঘ প্রধান মাধব সদাশিব গোলওয়ালকরের স্মৃতিসৌধতে শ্রদ্ধা জানাতে যান তিনি। পাশাপাশি বেতুলে আয়োজিত হিন্দু সম্মেলনেও যোগ দেন।
আর বেতুলের এই সম্মেলনকে সফল করে তুলতে স্থানীয় সংগঠন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের আয়োজকদের পরিশ্রমের কথা স্মরণ করেন তিনি। বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের সদস্যরা যে ভারতমাতার আরতি করছেন এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে তারা মুসলিম হতে পারেন। কিন্তু তারা ভারত মায়ের সন্তান। জাতীয়তাবাদের দিক থেকে তারা তো হিন্দু। তাই নিজেদের মায়ের আরতি করেছেন।
শুধু তাদের এই কাজের প্রশংসাই নয়, এই বিষয়টিকে দেশভক্তির একটা জ্বলন্ত উদাহরণ বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, বাকিদেরও জাতি এবং ধর্ম নির্বিশেষে ভারতমাতার সেবায় এইভাবেই এগিয়ে আসতে হবে। তবেই ভারত আবার জগৎসভার শ্রেষ্ঠ আসনে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে পারবে।
০৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস