আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আদালতের নির্দেশ তার পক্ষে যায়নি। তাই আপাতত সাত মুসলিম প্রধান দেশের অভিবাসীদের আটকাতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দেশের মধ্যে লড়াই শুরু করে দিলেন। গত এক সপ্তাহে কয়েকশো বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন প্রশাসন। এরপরই অভিবাসীদের মধ্যে গ্রেপ্তারির আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ক্ষমতায় এসেই ইরাক, ইরান, সুদান, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং সিরিয়া— এই ৭ দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে এক্সিকিউটিভ অর্ডার জারি করেন ট্রাম্প। সিরিয়া ছাড়া অন্য দেশের শরণার্থীদের ওপর ১২০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই বিতর্কিত নির্দেশিকার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।
তবে অর্ডার জারির পরই লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, অস্টিন এবং আটলান্টায় নথি না থাকা অভিবাসীদের খোঁজ শুরু করে ফেডারেল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইসিই অবশ্য বলেছে এটা ‘রুটিন’ অপারেশন।
আইসিই মুখপাত্র ডেভিড মার্টিন বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশেরই গুরুতর অপরাধের অতীত রয়েছে। বাকিদের যথাযথ নথি না থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৩৭ জন বেআইনি অভিবাসীকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস