আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে মুম্বাই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সাঈদকে সন্ত্রাসবাদীর হিসেবে ঘোষণা দিল পাকিস্তান। নওয়াজ শরিফ সরকারের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে দেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইন (এটিএ)–এর ফোর্থ শিডিউল ধারা প্রয়োগ করলো পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ। এই ধারা প্রয়োগ হলে সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তির ওপর নজর রাখা হয়। আইন মেনে তাকে নিয়মিত পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হয়।
ফোর্থ শিডিউল ধারা প্রয়োগের পাশাপাশি সন্ত্রাস দমন দপ্তরকে হাফিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। বাকি ৪ জন জামাত–উদ–দাওয়া এবং ফালাহ্–ই–ইনসানিয়াতের সক্রিয় সদস্য। ১৯৯৭ সালে পাশ হয় এই সন্ত্রাসবিরোধী আইন (এটিএ)।
এই আইনের বলে সরকার কোনও সন্দেহভাজনকে ‘সন্ত্রাসবাদী’র তকমা দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারে। তার সম্পত্তিও খতিয়ে দেখা হয়। ৩০ জানুয়ারিকে হাফিজ সাঈদকে গৃহবন্দী করে পাক সরকার। এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে পাক সেনাও। এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টেও নাম উঠেছে সঈদের। অর্থাৎ তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার চাপেই হাফিজকে সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিতে বাধ্য হল পাকিস্তান। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলায় মারা যান ৬ মার্কিনি। ২০১২ সালে তাই হাফিজের মাথার দাম ১ কোটি ডলার ঘোষণা করে আমেরিকা। ভারত অনেক দিন ধরেই হাফিজকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আনে আমেরিকা ও ফ্রান্স। তবে চীনের আপত্তিতে তা আটকে যায়।
১৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস