যে কারণে মুসলিম কিশোরীকে বানানো হচ্ছে কুমারী পূজার দেবী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টাকার লোভ দেখিয়ে মুসলিম মেয়েকে কুমারী পূজার দেবী বানাচ্ছে ভারতের ব্রাহ্মণরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার বিশেষ একটি পূজা কুমারী পূজা। কিন্তু এ নিয়ে প্রতিবারই সমস্যায় পড়তে হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। কারণ কুমারী পূজায় যে কুমারী মেয়েকে পূজা করা হয় তাকে দেবী মেনেই পূজা করা হয়, ফলে এই কুমারী মেয়েদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিয়ে হয় না।
যদিও এ পূজার জন্য ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে অত্যাবশ্যকীয়, তা না হলে পূজা হবে না। যে মেয়েটিকে কুমারী পূজার দেবী বানানো হচ্ছে তার নাম বর্ষা খাতুন। বর্ষা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। বর্ষার মা ফিরোজা বিবিকে এ প্রস্তাব দেন কালনার কাঁসারিপাড়ার এক চিকিৎসক। যার নাম ষষ্ঠী মল্লিক।
ফিরোজা বেগম বলেন, মেয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য ডাক্তার বাবুর কাছে যেতাম। টাকার জন্য ঠিকমতো মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারি না। ডাক্তার বাবু তখন আমাকে এ প্রস্তাব দেন। আমি ভেবে পাইনি কি করব। আমি আমার স্বামীকে জানাই। এরপর আমার স্বামী আমার ভাসুর ও শ্বশুরকে জানালে আমার ভাসুর রাজি হয়ে যেতে বলেন। একটি সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ষষ্ঠী মল্লিক। আর এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয় প্রতিবার। ষষ্ঠী মল্লিক বলেন, এ মেয়েটিকে দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই আমি তার মাকে এ প্রস্তাব দিয়েছি এবং তাদের পরিবারও রাজি।
পূজায় ব্রাহ্মণ মেয়ে অত্যাবশ্যকীয় জেনেও এ কাজ কেন করলেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ধর্ম আলাদা হলেও ভগবান তো একজনই। এ খবরটি ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো খুবই খুশির সঙ্গে ফলাও করে প্রচার করছে। মুসলিম মেয়েকে হিন্দুদের দেবী বানানোতে হিন্দুরা খুব খুশি হয়েছে বলেও জানানো হচ্ছে। - এই সময়
১৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আসিফ/এআর
�