কোপ্পুর আঘাতে ঘরছাড়া ১০ লাখ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলাপাইনের উত্তর-পূর্ব সমুদ্রতীরবর্তী জেলা অরোরায় টাইফুন 'কোপ্পু'র আঘাতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার থেকেই শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া এবং তার সাথে অবিরাম বৃষ্টি। এই ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ের সময় ভেসে যাওয়া বাড়ির ছাদ আঁকড়ে কোনও রকমে বেঁচে আছে কয়ে হাজার মানুষ। খবর এই সময়।
খবরে বলাহয়, রবিবার ভোর রাতে উত্তর-পূর্ব ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী টাইফুন 'কোপ্পু'। ডিজাসটার ম্যানেজমেন্টের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই টাইফুনের দাপটে ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। এছাড়া সমুদ্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পরে ১২ ফুট উচ্চতার ঢেউ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এই দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। কপ্পুর আঘাতের ফলে আগামী তিনদিন মুষলধারে বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বন্যা এবং ভূমিধ্বসেরও আশংকা করা হচ্ছে।
টাইফুন কপ্পু প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার এই বিধ্বংসী ঝড়ের গতিবেগ ছিল। অরোরা প্রদেশের ক্যাসিগুরান শহরে সর্বপ্রথম আছড়ে পড়ে 'কোপ্পু'। সেখান থেকে আরও বেশী শক্তিশালী হতে শুরু করে কোপ্পু। টাইফুনের জেরে ক্রমাগত চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। বানভাসী বিস্তৃীর্ণ এলাকা। সারা এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিন সংযোগও।
তবে উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে উদ্ধার কর্মীরা। আটকে পড়া মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ জায়গায়। তবে বেশিরভাগ অঞ্চলেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বন্যার জল যাচ্ছে বলে বিঘ্নিত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তবে টাইফুনটি এখন খব ধীরগতিতে এগোচ্ছে। গতিবেগ ঘন্টায় প্রায় ৩ কিলোমিটার। টাইফুনটির ধীরগতির ফলে দীর্ঘসময় ধরে তীব্র বৃষ্টিপাত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন অফিস অফ সিভিল ডিফেন্সের নাইজেল লনটক।
উল্লেখ্য : ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে ৬৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
১৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�