আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া কানেকশনের তদন্তে ক্ষমতা হারাতে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হতে পারে। এমন সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক বিশ্লেষক জন শিন্ডলার। তিনি নিরাপত্তা ও কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক সাবেক কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিঘ্নিত করতে রাশিয়ার উদ্যোগের সঙ্গে ট্রাম্প টিমের কথিত অভিযোগের ভিত্তিতে জবাবদিহিতার মুখে পড়েন ট্রাম্প তাহলে এতে তার প্রেসিডেন্সির ইতি ঘটতে পারে। ঘটে যেতে পারে পটপরিবর্তন। জন শিন্ডলার সিবিসি রেডিওকে এসব কথা বলেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যদি বিষয়টি প্রমাণিত হয় এবং অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান বা না চান তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে।
ট্রাম্প টিমের রাশিয়া কানেকশন নিয়ে তদন্ত করছে এফবিআই, কংগ্রেস এবং নিরপেক্ষ তদন্তকারীরা। তারা তদন্তে যা পাবেন তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন শিন্ডলার। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এফবিআই পরিচালক জেমস কমি নিশ্চিত করেছেন তার সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে এবং মস্কোর সঙ্গে ট্রাম্প টিমের গোপন সমঝোতার বিষয়ে তদন্ত করছে। একই ইস্যুতে তদন্ত করছে কংগ্রেসের অন্যান্য কমিটি।
তবে এসব তদন্তে কি পাওয়া যাচ্ছে তা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করে নি কোনো সংস্থা বা কমিটি। এরই মধ্যে ইঙ্গিত মিলেছে, তদন্ত এমন দিকে মোড় নিতে পারে যার কোনো শেষ নেই বা যা থেকে কোনো কিছুই পাওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি উদঘাটনকারী সাংবাদিকদের অন্যতম কার্ল বার্নস্টেইন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে নিজের টিমের সদস্যদের যোগাযোগের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার সঙ্গে জড়িত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই উদ্বেগের জবাবে শিন্ডলার বলেছেন, এ জন্যই তদন্তে কিছু পাওয়া না-ও যেতে পারে। ট্রাম্পের নির্বাচন বিষয়ক সাবেক প্রচারণা ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্টের দিকে এখন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের নজর। কারণ, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আরো কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন এক সময়। এমজমিন
২৭ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসবি