আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আমআদমি পার্টি (আপ)-র অন্দরমহলের এই ঘটনা এখন প্রকাশ্যে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে দলটি শুরুতেই চমক সৃষ্টি করলেও একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছে। দিল্লি পুরসভার নির্বাচনের আগে এই ঘটনা আপ-এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্ধকে প্রকাশ্যে এনে দিল বলেও অনেকে মনে করছেন।
দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন আপ নেত্রী সীমরন বেদী। কিন্তু, সভার আহ্বায়ক এবং দায়িত্বে থাকা আপ নেতা সঞ্জয় সিং, সীমরনকে কথা বলার অনুমতিই দেননি। এরপরই সীমরন সপাটে সঞ্জয় সিংকে চড় মারেন। এই ঘটনায় সকলেই হকচকিয়ে যান। পরে সীমরন সভা থেকে বেরিয়ে নিজেই প্রকাশ্যে বলতে থাকেন তিনি সঞ্জয় সিংকে থাপ্পড় মেরেছেন।
পরে দিল্লি পুলিশও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে। তারা জানায়, আপের এক নেতা টহলদারি পুলিশ ভ্যানে ফোন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, এক মহিলা কর্মীর হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হচ্ছেন সঞ্জয় সিং। তবে, দিল্লি পুলিশের দাবি, এখনও এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে বিষয়টি তারা নিজে থেকেই খতিয়ে দেখছেন।
সীমরন বেদী এবার দিল্লি পুরসভা বা এমসিডির ভোটে দাঁড়িয়েছেন। রাজৌরি গার্ডেন বিধানসভা এলাকার আপ কর্মী এই সীমরন। নির্বাচনে টিকিট বিতরণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে তার অভিযোগ। এর জন্য এদিনের সভায় নেতা সঞ্জয় সিংয়ের সামনে বিষয়টি তোলার মরিয়া চেষ্টা করে যান সীমরন।
তার অভিযোগ, যখনই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলছিলেন, ততবারই সঞ্জয় সিং তাকে বাঁধা দিচ্ছিলেন। এরপর রেগে গিয়ে তিনি সঞ্জয় সিংকে থাপ্পর মারেন। ক্ষুব্ধ সীমরনের অভিযোগ, এর আগেও বিষয়টি নিয়ে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন। সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গেও বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা সঞ্জয় সিং কেউই আগ্রহ প্রকাশ করেননি বলে অভিযোগ সীমরনের।
এদিকে, আপ-এর দিল্লি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দিলীপ পাণ্ডে এই ঘটনাকে লজ্জাকর বলে মন্তব্য করেছেন। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে, এভাবে আপকে হারানো যাবে না বলে দাবি করেন তিনি। সীমরনের বিরুদ্ধে আপ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি।
০৩ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস