প্রথম ট্যাটু আঁকা প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি
নিউজ ডেস্ক : কানাডার সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি। জাস্টিন ট্রুডো দলটির নেতা। তিনিই হচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ৪৪ বছর বয়সী জাস্টিন ট্রুডো হচ্ছেন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়ারে এলিয়ট ট্রুডোর বড় ছেলে।
পিয়ারে ট্রুডো হচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখা এক বন্ধু। তাকে বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা দিয়েছিল। ট্রুডোর পিতা ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০০ সালে পিয়ারে ট্রুডো মারা যান। তার মাতার নাম মারর্গেট ট্রুডো।
কানাডার অটোয়াতে জন্ম নেয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ট্রুডো। প্রথম ট্যাটু আঁকা প্রধানমন্ত্রীও তিনি। ট্রুডোর কাঁধের বাঁদিকে একটি ট্যাটু করা আছে।
ট্রুডোর জন্ম ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তিনি ম্যাকগ্রিল ইউনির্ভাসিটি থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
ছাত্রকালীন অবস্থায় খেলাধূলার প্রতি বিশেষ করে বক্সিংয়ের প্রতি ছিল তার নেশা। শিক্ষা জীবন শেষে কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন গণিতের শিক্ষক হিসেবে। তিনভাইয়ের মধ্যে ট্রুডো সব থেকে বড়। তার মেঝো ভাই আলেক্সজান্ডার ট্রুডো কানাডার চিত্রপরিচালক ও সাংবাদিক। ছোটভাই মাইকেল ছিল সবার আদরের, কিন্তু ১৯৯৮ সালে স্কেটিং করার সময় বরফ ধ্বসে মাত্র ২৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় মাইকেলের।
ট্রুডোর স্ত্রীর নাম সোফি গেগ্রারি। সোফিকে ২০০৪ সালের ১৮ অক্টোবর প্রেমের প্রস্তাব দেন লাজুক ট্রুডো। সবচেয়ে মজার ব্যাপার ২০০৭ সালের ১৮ অক্টোবরেই প্রথম সন্তানের জনক হন এই দম্পত্তি।
সোফি ছিল ট্রুডোর ছোট ভাই মাইকেলের সহপাঠী ও বন্ধু। তিনি কানাডার কুব্যেক টেলিভিশনের খ্যাতিমান উপস্থাপিকা ও সাংবাদিক। তিনি বেসরকারী টেলিভিশনটির বিনোদন সংবাদ ‘ই-টক’ও বেশকিছু চ্যারিটি শো য়ের সঙ্গে জড়িত।
ট্রুডো আর সোফির ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান। বড় ছেলের নাম জাভিয়ার জেমস ট্রুডো আর ছোট মেয়ের নাম ইলা গ্রেস মারগের্ট ট্রুডো। - চ্যানেল আই
২১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আসিফ/এআর
�