আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপি তরজা চলছেই। এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে চরম আক্রমণ শানালেন ভারতের ক্ষুদ্র ও অতি-ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। বহরমপুরে একটি কর্মীসভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন, ‘মমতা ব্যানার্জীর চরিত্র বাংলাদেশিদের মতো।’
বিজেপির তরফে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে গিরিরাজ সিংহকে। সেই সুবাদেই বহরুমপুরের এক কর্মীসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন গিরিরাজ। আইআইসি স্কুলে আয়োজিত সভার আগে বহরুমপুর সার্কিট হাউজে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন তিনি।
সেখানেই চাঁছাছোলা ভাষায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জীর আচার ব্যবহার বাংলাদেশিদের মতো। এই রাজ্যে অদূর ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধ ড্রাগ, চরস পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। বর্তমানে কোনও মানুষের আস্থা নেই মমতার উপর’।
এমনিতেই মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। সেখানে এ বার পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। সেই কারণে কর্মী-সংগঠকদের চাঙ্গা করার লক্ষ্যে একটু কড়া ‘ডোজে’র ভোকাল টনিক দিয়েছেন গিরিরাজ— এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দিন কয়েক আগেই রামনবমী উদযাপন নিয়ে একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার খেলায় নেমেছিল বিজেপি-তৃণমূল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অস্ত্র নিয়ে মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন হিন্দুদের। সেই মতো বহু জায়গাতেই অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের হয়। সেই প্রসঙ্গে বিতর্ক কম হয়নি। বিজেপিকে বাক্যবাণে জর্জরিত করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। আজ অস্ত্র নিয়ে মিছিলের বিষয়টি টেনে এনে গিরিরাজ সিংহ বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা আমাদের সংস্কৃতি পালন করতে পারব না? অস্ত্র মিছিলে তো কোনও দোষ নেই।’
মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের মন জয় করার প্রচেষ্টাও দেখা যায় গিরিরাজের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপর যথেষ্ট অত্যাচার চলেছে তৃণমূল সরকারের আমলে। তোষণবাদী রাজনীতি করছে এই সরকার।’
মূলত ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই জেলায় জেলায় নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই মুর্শিদাবাদে গিরিরাজের আগমন।
০৯ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস