আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দাভাও শহরের মেয়র ছিলেন ফিলিপিন্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। মিস্টার দুতের্তে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
যেমনটি তিনি করেছেন প্রেসিডেন্টের হওয়ার পরেও। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই বহু মানুষকে হত্যার অভিযোগ এনেছে। দাভাওয়ের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা অর্তুরো ল্যাসক্যানাস ছিলেন মিস্টার দুতের্তের ডেথ স্কোয়াডের একজন সদস্য।
এক সাক্ষাতকারে মিস্টার ল্যাসক্যানাস বলছেন তিনি নিজেই দুশোর বেশি মানুষকে হত্যা করেছেন। " ডেথ স্কোয়াডের সদস্য হিসেবে আমি তখনকার দাভাও শহরের মেয়র রদ্রিগো দুতের্তের আদেশে কাজ করেছি"। তিনি বলেন মিস্টার দুতের্তের নির্দেশ দিলো ব্যবস্থা নেয়ার ।
এরপর তারা পিস্তল ও মাদক রেখে দিতেন যাতে মনে করা হতো তাদের অ্যাকশনটা ঠিকই হয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তারা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলো। "আমি নিজে পরোক্ষভাবে আমার দুই ভাইয়ের হত্যার জন্য দায়ী"।
তিনি বলেন, " আমার দুই ভাই অবৈধ মাদক ব্যবসায়ের জড়িত ছিলো। আমার আপন দুই ভাই। অন্ধ আনুগত্য, অন্ধ বিশ্বাসের জন্য এটা করেছি"। মিস্টার দুতের্তে এখন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আর এ যুদ্ধে এর মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে হাজারের বেশি মানুষ। মিস্টার ল্যাসক্যানাস বলেন তাদের কোন ঈশ্বরের ভয় ছিলোনা।কিন্তু এখন মৃত্যু ভয় হচ্ছে। সরকার অবশ্য এসব অভিযোগকে অস্বীকার করছে এবং বলছে এসব কিছুই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তবে রদ্রিগো দুতের্তেকে নিয়ে এসব বলার পর থেকে পালিয়ে আছেন মিস্টার ল্যাসক্যানাস, তাকে সুরক্ষা দিচ্ছে একটি ক্যাথোলিক চার্চ। একসময় হত্যাকাণ্ডগুলোর বিরুদ্ধে চুপ থেকে সমালোচিত হওয়া চার্চের বিশপও এখন সরব হয়েছেন।
তিনি স্পষ্ট করেই বলছেন সমস্যা সমাধানের এটি কোন পথ হতে পারেনা। তার এ বক্তব্যও ভালোভাবে নেননি প্রেসিডেন্ট দুতের্তে।-বিবিসি
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে