আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উড়িষার ভুবনেশ্বর শহরে বিজেপির রাষ্ট্রীয় কর্মসমিতির বৈঠকে রোববার বক্তব্য রাখলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের বক্তব্যে নিজের রাজনৈতিক আদর্শগত বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ করেন মোদি। একই সঙ্গে দলীয় নেতাদের মিতভাষী হতে পরামর্শ দেন তিনি।
একই সঙ্গে এদিন তিন তালাক নিয়ে মুখ খোলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি বলেন, সরকার ও দল মুসলিম মহিলাদের পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘তিন তালাকের জন্য মুসলিম বোনেরা আসহনীয় দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। আমরা এর সমাধান করতে চাই। সেজন্য জেলা স্তর পর্যন্ত কাজ করতে হবে।’
বলে রাখা ভালো, যে সময় ভুবনেশ্বর শহরে একথা বলছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, তখনই এক সাংবাদিক বৈঠকে মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড এক সাংবাদিক বৈঠকে জানায়, তিন তালাক নিয়ে অন্য কারও হস্তক্ষেপ মানবে না তারা।
এদিন রাজনৈতিক ও আদর্শগত বিরোধীদের একহাত নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে দেশে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে যেসমস্ত শিল্পী সাহিত্যিকরা পুরস্কার ফেরত দিয়েছিলেন তাদের সমালোচনা করেন নরেন্দ্র মোদি।
মোদি বলেন, ‘প্রতিটি ভোটের আগে বিরোধীরা একটা করে ইস্যু আমদানি করে। বিহার নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছিল পুরস্কার ফেরত দেওয়া। এখন কোথায় তারা? দিল্লি নির্বাচনের আগে শুরু হল গির্জায় হামলা। এখন উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের পর ইভিএম নিয়ে শুরু হয়েছে। বিরোধীদের ইস্যু কি কারখানায় তৈরি হয়।’
এদিন উত্তর প্রদেশের জয়কে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেন মোদি। সঙ্গে প্রশংসা করে পার্টি সভাপতি অমিত শাহেরও। তবে এই জয়ে দলের কর্মীদের বেশি উচ্ছসিত হতে বারণ করেন তিনি। দলের নেতাদের পরামর্শ দেন, ‘কথা বলা ভাল। কিন্তু বেশি কথা বলা ভাল নয়। অনেক সময় নীরবতা অনেক কথা বলে যায়।’
১৬ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস