আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 'বয়ফ্রেন্ড আমাকে ঠকাচ্ছিল, হাতে নাতে ধরেছি। ওকে অ্যারেস্ট করুন।' 'পাশের বাড়ির লোকটা রোজ সকালে ক্ল্যাসিক্যাল গেয়ে ঘুমের বারোটা বাজায়, ওকে গ্রেপ্তার করে জেলে পুরুন তো।' 'কাকু অঙ্কটা অনেক ক্ষণ ধরে চেষ্টা করেও পারছি না। কাল স্কুলে খুব বকবে, তোমরা তো সব পারো, এটা একটু করে দাও না।'
এই সব আবেদন-নিবেদন রোজই শুনতে হয় কলকাতা পুলিশকে। পুলিশের আপত্কালীন হেল্পলাইন নম্বর ১০০-তে ফোন করে এমন দাবি-দাওয়া রাখেন অনেকেই। এ ধরনের ভুয়ো কলের উত্পাতে অতিষ্ঠ পুলিশ। প্রতিদিন ১০০০-এরও বেশি ভুয়ো কল আসে বলে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। ভুয়ো কলের জেরে অনেক সময়ই লাইন পান না সত্যি বিপদে পড়া ব্যক্তিরা। কিন্তু যেহেতু ভুয়ো কল আটকানোর কোনও ব্যবস্থা নেই, তাই সমস্যা বেড়েই চলেছে ১০০ হেল্পলাইনে।
শুধু ছোট বাচ্চারা নয়, অনেক সময় ছেলেমেয়ে কথা না শুনলে তাদের বাবা-মাও পুলিশে ফোন করে ছেলেমেয়েদের একটু বকে দিতে অনুরোধ করেন। একটু রাতের দিকে নেহাতই মজা করার জন্য ফোন করে জ্বালাতন করে বহু মাতাল। এমনকি মোবাইল দোকানের কর্মচারীরাও ফোন ঠিক আছে দেখাতে টোল-ফ্রি ১০০-তে ফোন করে পরীক্ষা করেন।
কলকাতার বিধাননগর সিটি পুলিশ কনট্রোল রুমে ১০০ নম্বরের তিনটে লাইন রয়েছে। তিনটে ফোনেই অবিরাম কল আসতে থাকে। ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী পুলিশে ইচ্চাকৃত ভাবে ভুয়ো কল করলে সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। তবে সাধারণত এরকম কিছু করা হয় না। অনেক সময় ছোট ছেলেমেয়ে বেশি উত্পাত করলে তাদের বাবা-মাকে ফোন করে ছেলে-মেয়েকে শাসন করতে বলা হয়।
১৭ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস