আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মঙ্গলবার রাতে উড়িষার ভুবনেশ্বরে পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ভুবনেশ্বরে নেমে তার দলের নেতা অসুস্থ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। অ্যাপোলো হাসপাতালে নেত্রী দেখেই কান্নায় ভেঙে পরেন সুদীপ বন্দ্যোপধ্যায়। তবে ন্যায্য বিচার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ।
যদিও, ভুবনেশ্বরে পৌঁছানোর অনেক আগে থেকে মমতাকে মন্দিরে পুজো দেওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। মমতা ‘গোমাংস ভক্ষণকারী’ দাবি করেন জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত সোমনাথ খুঁটিয়া। আর সেই কারণেই মমতাকে মন্দিরে পুজা দেওয়ায় আপত্তি তোলেন সোমনাথ খুঁটিয়া সহ বেশ কয়েকজন সেবায়েত।
যদিও, জগন্নাথ মন্দিরের মূল পুরোহিত জানিয়েছেন, ওডিশা সরকারের অতিথি মমতা ব্যানার্জী। তাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর যাতে পুজো দিতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।
পাশাপাশি মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, মমতা ব্যানার্জী সেখানে যেতেই পারেন। সেই মত বুধবার পুরী পৌঁছান মমতা। আর সেখানে পৌঁছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘আমি প্রকৃত হিন্দু’ । শুধু তাই নয়, ‘বিজেপি হিন্দুত্বের কলঙ্ক’ বলেও মন্তব্য করেন মমতা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিতর্ক মাথা চাড়া দিতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদও সুর চড়ায়। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, ‘আমি হিন্দু বলে চিত্কার করতে হবে মমতা ব্যানার্জীকে। পুরীর মন্দির শুধু হিন্দুদের তীর্থস্থান। জগন্নাথ হিন্দুদের দেবতা। তাই হিন্দু ছাড়া মন্দিরে কারও প্রবেশাধিকার নেই।
গত কয়েক বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন আচরণ তার হিন্দু ধর্মের প্রতি আস্থা নিয়ে দেশজুড়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তাকে হিজ়াব পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি যে হিন্দু তা প্রমাণ করতে হবে তাকেই।’
অরাজনৈতিক সফরে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করলেও, ‘আমি হিন্দু’ বলে মুখ্যমন্ত্রী কী প্রমাণ করতে চাইলেন, এবার সে বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন।
১৯ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস