আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজই তার ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ যাত্রায় পার পেয়ে গেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। একটি দুর্নীতি মামলায় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি রায় না দিয়ে বিষয়টির যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে নওয়াজ শরীফের বিদেশে ব্যবসার বৈধতা নিয়ে হওয়া একটি দুর্নীতির মামলার আজকের আদেশ তার বিপক্ষে গেলে তাকে ক্ষমতা থেকেও হয়তো সরে দাঁড়াতে হতো।
বিশ্বজুড়ে বহুল আলোচিত পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ শরীফের তিন সন্তানের নাম বিদেশে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সম্পৃক্ত আছে বলে প্রকাশ পেলে এ নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয়।
যদিও নওয়াজ শরীফ ও তার পরিবার কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে দেশটির বিরোধী নেতা ইমরান খান নওয়াজ শরীফের তীব্র সমালোচনা করে রাস্তায় বিক্ষোভের হুমকি দিয়েছেন।
গত বছর মে মাসে পানামা পেপার্স নামে পরিচিত ফাঁস হয়ে যাওয়া অফশোর অ্যাকাউন্টের তথ্যের একটি তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছিলো।
নিজেদের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশে পর অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আই সি আই জে বলেছিলো যে, এই ডেটাবেজে উল্লেখিত সবাই যে অবৈধ কাজ করেছে তা নয়, তবে এর মাধ্যমে অনেকে কর ফাঁকি বা আর্থিক তথ্য লুকানোর চেষ্টা করতে পারে।
আইনি প্রতিষ্ঠান মোজাক ফনসেকার ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি, পানামা পেপার্সের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে চিত্রতারকা এবং তারকা খেলোয়াড়দেরও গোপন সম্পদের খবর ফাঁস হয়ে যায়।
জার্মান একটি পত্রিকার কাছে ‘জন ডো’ নামে পরিচিত একটি সূত্র এই তথ্যগুলো ফাঁস করে দেয়।
পরবর্তীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট এই তথ্য প্রকাশ করে।
তবে মোজাক ফনসেকা দাবি করছে, তারা বেআইনি কোনো কাজ করেনি।
২০ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/টিটি/পিএস