বাশারের মস্কো সফরে কড়া সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতি ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অঘোষিত মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে এ বৈঠক করেন। আর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মস্কো সফরের কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোয় বাশারকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়ায় রাশিয়ার প্রতিও নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র এরিক শুলজ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আসাদের জন্য লালগালিচা অভ্যর্থনা দেখলাম, যিনি নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।’ সিরিয়ায় ‘রাজনৈতিক পরিবর্তনে’ রাশিয়ার অবস্থানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতভিন্নতার কথাও জানান তিনি।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, আসাদের মস্কো সফর নিয়ে তারা অবাক হননি। তবে আসাদ সরকারের প্রতি রাশিয়ার অব্যাহত সামরিক সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। কেননা এই সমর্থন আসাদ সরকারকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে উৎসাহিত করছে, যা কেবল দেশটির গৃহযুদ্ধকেই দীর্ঘায়িত করছে।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, তারা ইসলামিক স্টেট জঙ্গি ও অন্যান্য স্বশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে রুশ বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। তবে মস্কো এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, বেসামরিক নাগরিক তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নয়।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মস্কো সফর করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ায় গত সাড়ে চার বছর ধরে চলা সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে আরো অন্তত ১০ লাখ মানুষ। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে এসব মানুষ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মস্কো যান আসাদ। বুধবারই আবার তিনি রাজধানী দামেস্ক ফিরে আসেন। আসাদ দেশে ফেরার পর তার রাশিয়া সফরের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
মস্কো সফরের সময় সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, এই অভিযান সিরিয়ার সন্ত্রাসী শক্তিকে দুর্বল করেছে। অন্যদিকে পুতিন বলেছেন, এই অভিযান সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলা সঙ্কটের একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে
এদিকে, বাশারের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের পর সিরিয়ার সংকট সমাধানে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে মস্কো। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবেন।
২২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�