আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে হঠাৎই যাত্রীদের মধ্যে থেকে চিৎকার করে বলে উঠেছিল “হ্যালো, আমি আইএসআই এজেন্ট। কিন্তু আমি আর এই কাজ করতে চাই না। আমি ভারতে থাকতে চাই।”
এরপরেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে দুবাই থেকে দিল্লি আসা পাকিস্তানের মোহাম্মদ আহমেদ শেখ রফিককে আটক করে নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু শনিবারই ভারতের গোয়েন্দারা সন্দেহ প্রকাশ করেন, ওই ব্যক্তি আইএসআইয়ের চর নয়। বরং ভারতে আশ্রয়ের জন্যই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।
এর আগে শুক্রবার বিমানবন্দরে নেমেই রফিক সোজা চলে যান হেল্প ডেস্কে। সেখানে গিয়ে বলে, সে আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করে এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার বিষয়ে বেশ কিছু গোপন তথ্য ভারতকে জানাতে চায়। হেল্প ডেস্কের কর্মীদের সচরাচর এমন অভিজ্ঞতা নেই। তাই ওই ব্যক্তির কথাবার্তা শুনে প্রথমে বেশ বিস্মিত এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। তবে সম্বিত ফিরতেই নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে পাঠান।
তারপরেই ওই পাক নাগরিককে আটক করা হয়। খবর দেওয়া হয় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেও। এরপরেই রফিককে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেন গোয়েন্দারা। চলতে থাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। গোয়েন্দা কর্মকর্মাদের মতে, কখনই মনে হয়নি আটক ব্যক্তি আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করে। পরে তারা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যান যে ওই ব্যক্তি ভারতে আশ্রয় নেওয়ার জন্যই এমন কাজ করেছেন।
আপাতত ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো জিজ্ঞাসাবাদ করছে রফিককে। তবে সে এখনও পর্যন্ত কোনও আইনই ভাঙেনি। এমনকী কাছে বৈধ ভিসাও রয়েছে। পাশাপাশি ভারতে তার বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগও নেই। তবে জেরায় সে নাকি বারবার বলেছে, আইএসআই তার বাড়ির লোকদের আটকে রেখেছে যাতে সে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করে। তবে রফিক চায় ভারতের হয়ে কাজ করতে। এখন দেখার, রফিকের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় গোয়েন্দারা?
৩০ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস