আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিলারি ক্লিনটন বললেন, একেবারে সর্বনাশ করে দিয়েছেন এফবিআই প্রধান জেমস কমি। (ই-মেইল ইস্যু তদন্তের জন্য সিনেটকে) যদি তিনি লিখিতভাবে না জানাতেন তাহলে আমিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকতাম। পরাজিত হতেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিউ ইয়র্কে ওমেন ফর ওমেন ইন্টারন্যাশনাল ফোরামে বক্তব্যে এসব কথা বলেন হিলারি। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান ডেমোক্রেট হিলারি ক্লিনটন। নির্বাচনে ইলেক্টোরাল ভোটের হিসাবে বিজয়ী হন ট্রাম্প। কিন্তু জনপ্রিয় ভোটের হিসাবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। ট্রাম্পের চেয়ে তিনি ৩০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছেন।
এসব নিয়ে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন ওই অনুষ্ঠানে। নির্বাচনের দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকতে হিলারির ই-মেইল প্রকাশ করে দেয়ার সংক্রান্ত ঘোষণা দেন এফবিআই পরিচালক জেমস কমি। এ ঘটনাকেই পরাজয়ের মূল কারণ বলে মনে করেন হিলারি।
তিনি জানান, তার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে চ্যালেঞ্জ, সমস্যা এবং ঘাটতি ছিল। নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য মিস ক্লিনটন তৎকালীন এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কমি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন।
মিস ক্লিনটন দাবী করেন, তিনি নির্বাচনে জয়ের পথে ছিলেন। কিন্তু অক্টোবরের ২৮ তারিখে তৎকালীন এফবিআই ডিরেক্টরের চিঠি এবং রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি। গত বছরের অক্টোবরের ২৮ তারিখে তৎকালীন এফবিআই মার্কিন কংগ্রেসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইলের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালের অক্টোবরের ২৭ তারিখে নির্বাচন হলে জয়লাভ করা সম্ভব হতো বলে মনে করেন হিলারি ক্লিনটন। মিস ক্লিনটন বলেন তার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ ১০দিনে সব কিছু পাল্টে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় একটি দলের হয়ে প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করেন। সেটিও তার পরাজয়ের জন্য একটি বড় কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
৪ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি