তুর্কি এয়ারলাইনের মালিক ইরানি কোটিপতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের ইস্তাম্বুল-ভিত্তিক একটি বেসরকারি এয়ারলাইনের বিরুদ্ধে ইরানের তেল মন্ত্রণালয় মামলা করেছে বলে খবর দিয়েছে একটি তুর্কি পত্রিকা। ওই এয়ারলাইনটি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত একজন ইরানি কোটিপতি কিনে নিয়েছেন বলে মনে করা হয়। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের দায়ে বর্তমানে তেহরানের একটি আদালতে কোটিপতি ববাক যানজানির বিরুদ্ধে মামলার শুনানি চলছে।
তুরস্কের হুররিয়াত পত্রিকা খবর দিয়েছে, ইরানের তেল মন্ত্রণালয় তুরস্কের ওনুর এয়ারের (Onur Air) পুরো মালিকানা দাবি করে দেশটির আদালতে মামলা করেছে। বিশাল অঙ্কের দুর্নীতির দায়ে কারাগারে আটক যানজানি ওই এয়ারলাইনের মালিক বলে প্রমাণ পেয়েছে এ মন্ত্রণালয়।
ইরান সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশে তেল রপ্তানি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে ২৮০ কোটি ডলারের সমপরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অপরাধে তেহরানের আদালতে যানজানির বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ইরানের সংসদের ১২ সদস্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর ২০১৩ সালের শেষদিকে ৪২ বছর বয়সি যানজানিকে গ্রেফতার করা হয়।
ইরানি সংসদ সদস্যরা প্রেসিডেন্ট, বিচার বিভাগের প্রধান ও পার্লামেন্ট স্পিকারকে দেয়া এক চিঠিতে যানজানির অর্থনৈতিক তৎপরতা তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানানোর পর তাকে আটক করা হয়। প্রায় ৬৩০ দিন আটক থাকার পর চলতি মাসের গোড়ার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
দৈনিক হুররিয়াত জানিয়েছে, ওনুর এয়ারের মালিকানা গ্রহণের জন্য তুরস্কের আদালতে কয়েকটি মামলা করেছে তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে ২০ কোটি ডলার ব্যয় করে ওই এয়ারলাইনটি কিনেছিলেন যানজানি। অবশ্য ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিজের নামে না কিনে দু’জন বিশ্বস্ত সহযোগীর নামে এয়ারলাইনটি কিনে নেন তিনি। ওই দুই সহযোগী হলেন তুর্কি নাগরিক কুদরেত তানসেল এবং দুবাইয়ে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিক মেহদি শামস।
হুররিয়াতের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তুর্কি আদালত এরইমধ্যে ওনুর এয়ার বিক্রি ও কেনার প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু আর্থিক অসঙ্গতির প্রমাণ পেয়েছে। এ কারণে এ মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এয়ারলাইনটি বিক্রি বা এর মালিকানা হস্তান্তরের সব প্রক্রিয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আদালত। সূত্র: রেডিও তেহরান
২৪ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�