'মালালা'কে নিয়ে শিবসেনার প্রস্তাব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানি নাগরিকদের সম্পর্কে কট্টর বিরোধী মনোভাব পোষণ করলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসফজাইকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তির দূত করার আহ্বান জানালেন ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল শিবসেনা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে দলটি দেশজুড়ে একের পর পাক বিরোধী অবস্থান নিয়েছে, সেই দলটিই জানিয়েছে ভারত সরকারের উচিত মালালাকে এদেশে আসার দাওয়াত জানানো এবং তাঁকে নয়াদিল্লি এবং ইসলামাদের মধ্যে শান্তির দূত করা।
শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানান, ‘শিবসেনা চায় ভারত সরকার যেন মালালাকে এদেশে আসার দাওয়াত জানায় এবং ওঁকে যেন দুই দেশের মধ্যে শান্তির দূত করা হয়... ওঁই হল শান্তির আসল দূত, কারণ শান্তির কথা বলায় মালালা রক্তাক্ত হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে অন্যান্য রাজনীতিবিদদের নাটকবাজী চলতেই থাকবে কিন্তু পাকিস্তানে কেবলমাত্র এক শতাধিক মালালা থাকলেই ওই দেশ থেকে চিরদিনের মতো সন্ত্রাসবাদ মুছে যবে বলেও উল্লেখ করেন রাউত।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পাকিস্তানে তালিবাদের হামলা সত্ত্বেও কোনমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ১৮ বছর বসয়ী মালালা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ মুছে ফেলতে সাহস করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সঞ্জয় রাউত আরও জানিয়েছেন, ‘মালালাকে যদি ভারত সরকারের তরফে আমন্ত্রণ জানানোর হয় সেক্ষেত্রে আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। এক্ষেত্রে মালালার সঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরির মতো রাজনৈতিক নেতাদের অনেক পার্থক্য আছে।
কাসুরি সবসময় সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মালালা এমন একজন নারী যে পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার লাড়াই চালিয়েছে। এজন্য সন্ত্রাসীদের গুলিও খেতে হয়েছে তাঁকে।
এক সময় সে প্রায় মারাই যাচ্ছিল। ওঁকে দেখে পুরো বিশ্বের মানুষদের শেখা উচিত’। মালালা যদি ভারতে আসে সেক্ষেত্রে যেসব মুসলিমরা পাকিস্তানের এই সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে তারাও উচিত শিক্ষা পাবে বলে মন্তব্য করেন শিবসেনার এই শীর্ষ নেতা।
ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালানোর অভিযোগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কড়া মনোভাব নিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন ভারতের এই হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দলটি। তাদের বিরোধীতার কারণেই চলতি মাসের গোড়ায় মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি গায়ক গুলাম আলির কনসার্ট বাতিল করা হয়েছে, পাক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসুরির বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তার মুখে কালি লেপে দেওয়া হয়েছিল।
গত রবিবারই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি শাহরিয়ার খানের মধ্যে বৈঠক ভেস্তে দিতে মুম্বাইতে অবস্থিত বিসিসিআই-এর কার্যালয়ে গিয়ে তাণ্ডব চালায় শিবসেনা।
এ হামলার পরই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানের আলিম দারকে সরিয়ে নেয় আইসিসি। এছাড়া, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ধারাভাষ্যে দায়িত্বে থাকা ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আখতারকে সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। তারা দুজনই স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য চুক্তিভুক্ত ছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
২৪ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�