আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত জুড়ে ব্যাপক ধরপাকড়ে দুই পাক গুপ্তচর ধরা পড়ার পরেই স্পষ্ট হয়েছে, কীভাবে উপত্যকায় অশান্তি তৈরি করতে জলের মতো টাকা ঢালছে পাকিস্তান। গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে অন্তত ৭০ লক্ষ টাকা পেয়েছে বিচ্ছিনতাবাদীরা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে। চ্যানেলটির দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে পাকিস্তান ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের অশুভ আঁতাত। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা শাবির আহমেদ শাহ এই চক্রের অন্যতম মাথা। যদিও তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ভারত সরকার।
গত কয়েক মাস ধরেই তুমুল অশান্ত জম্মু ও কাশ্মীর। শনিবারও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও আক্ষেপ করে বলেছেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনুকূল নয়। এর প্রভাব জম্মুতেও পড়েছে। প্রভাবিত হয়েছে রাজ্যের পর্যটন শিল্পও।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কাশ্মীরে অশান্তির জন্য শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের উসকানিমূলক মন্তব্যই নয়, দায়ী রাওয়ালপিণ্ডি থেকে আসা নগদ টাকাও। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপে ইন্ধন জোগাতে ও দেশদ্রোহী কাজের জন্য স্থানীয় গরিব যুবকদের টাকার লোভ দেখিয়ে দলে টানছে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও এবার নড়েচড়ে বসেছেন। ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপিকে এই অশুভ চক্রের মাথাদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। যার মাধ্যমে পাকিস্তানের টাকা ভারতে আসে সেই আহমেদ সাগরকে অবিলম্বে খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে।
আহমেদই আইএসআই-এর টাকা ভারতে শাবির শাহের হাতে তুলে দিত। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানিয়েছেন, অবিলম্বে কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত।
৬ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস