আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক মাস ধরে উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি। রাজ্যটির গুরুত্বপূর্ণ জেলা সোপিয়ানে প্রায় চার হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছেন। তারা তল্লাশি চালাচ্ছে গোটা এলাকায়। নব্বইয়ের দশকে এখানে চরমপন্থীরা আশ্রয় নিতে শুরু করেছিল। তখন এই ধরণের তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, ফের কেন চিরুণি তল্লাশি শুরু হল।
অতিসম্প্রতি জঙ্গি প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কমপক্ষে ৩০জন জঙ্গিকে দেখা গিয়েছিল ওই ভিডিওয়। ওই জঙ্গিরা সোপিয়ানকে আজাদ কাশ্মীর ঘোষণা করতে চেয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের জুটিয়ে নিয়েছিল তারা। ৪ হাজার ভারতীয় সেনা অপারেশন শুরু না করলে কাশ্মীরের ওই অংশকে নিজেদের দখলে নিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা করে দিত জঙ্গিরা। সেজন্য সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিল। গোটা কাশ্মীর দখল করে শরিয়তি আইন চালু করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।
ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, কাশ্মীরে এখন প্রায় দেড়শো আতঙ্কবাদী লুকিয়ে রয়েছে। যেকোনও সময়ে তারা বড়সড় হামলা চালাতে পারে। এজন্য সেনাবাহিনীর চিরুণি তল্লাশি চলছে। জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে স্থানীয়রাই। পাকিস্তানের টাকাতেই চলছে ভারত বিরোধী প্রচার। মগজধোলাই করা হচ্ছে কাশ্মীরি যুবকদের।
৮ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস