আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নুর-উর রহমান বরকতিকে ঘিরে টানাপোড়েন এখনও চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে মসজিদ পরিচালকদের মূল অভিযোগ ছিল ইমামের কাজ না করে তিনি অন্য কাজ করেন। নামাজ পড়াতে আসেন না কিন্তু রাজনীতি করেন মসজিদে বসে। বরখাস্ত হওয়ার পরে সেই বরকতির বিরুদ্ধেই এ বার জোর করে নমাজ পড়ানোর অভিযোগ উঠল।
বুধবার ইমাম বরকতিকে বরখাস্ত করে প্রিন্স গোলাম মোহাম্মদ ওয়াকফ এস্টেট। এরপরে এদিন বিকেলে ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদে অনুগামীদের নিয়ে আসেন বরকতি। তিনি এদিন নামাজও পড়ান। এরপরে সাংবাদিক সম্মলেন করে মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে তাঁকে বরখাস্তের প্রসঙ্গে বরকতি বলেন, তাঁকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা কোনও ট্রাস্টি বা সরকারের নেই। পুরো কমিউনিটি তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা চাইলেই তিনি ইমামের পদ ছাড়বেন।
এই প্রসঙ্গে প্রিন্স গোলাম মোহাম্মদ ওয়াকফ এস্টেট-এর সদস্য তথা টিপু সুলতানের পরিবারের সদস্য শহিদ আলম বলেন, ‘বরখাস্ত হওয়ার পরে তিনি আর মসজিদে ঢুকতে পারেন না। তাঁর ব্যক্তিগত জিনিস পত্র মসজিদ থেকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এরপরেও তিনি অনুগামীদের নিয়ে এসেছেন। এটা চলতে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজন আদালতের কাছে ওনাকে আটাকানোর জন্য ১৪৪ ধারা প্রয়োগের আবেদন জানানো হবে।’
একের পর এক বিতর্কে এখন কার্যতই কোণঠাসা নুর-উর রহমান বরকতি। বরখাস্ত ইমামের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মসজিদের চাবি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ বউবাজার থানায় জানান, গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দেওয়ার জন্যেই নিরাপত্তা কর্মীর থেকে সোমবার চাবি কেড়ে নেন বরকতি। পরে সেই চাবি ফেরত দিয়ে দিলেও মসজিদ কর্তৃপক্ষ যে সহজে ছাড়তে রাজি নন এদিন ফের তা স্পষ্ট করেছেন ট্রাস্টির সদস্যরা।
১৭ মে ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস